সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য অর্থ সাহায্য প্রয়োজন
২৭ আগস্ট ২০১২সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির সীমান্ত অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে শরণার্থীর সংখ্যা৷ ইতিমধ্যে জর্ডানে সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ছুঁয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন৷ এই অবস্থাতে সেখানে দুরবস্থার মধ্যে কাটাচ্ছে শরণার্থীরা৷ বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অবস্থা বেশি খারাপ৷ অনেক শিশুর টিকার সময় পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের টিকা দেওয়া যাচ্ছে না৷ জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ সোমবার এক বিবৃতিতে জরুরী অর্থ সাহায্য চেয়েছে৷ শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাতে এবং সেখানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য তারা ৫৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে৷ জর্ডানের সীমান্ত এলাকায় জাতারি নামে শরণার্থী শিবিরে এখন রয়েছে ১৭ হাজার মানুষ৷ মাত্র আড়াই বর্গ মাইল এলাকার মধ্যে তারা বাস করছে৷ সেখানকার ইউনিসেফের প্রতিনিধি ডমিনিক হাইডে বললেন, ‘‘এই বছরের শেষের মধ্যেই এখানকার লোক সংখ্যা ৭০ হাজার হয়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা৷ গত সপ্তাহান্তে কেবল এক রাতেই দুই হাজার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে৷''
এদিকে দামেস্কের বাইরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আসাদ বাহিনীর যুদ্ধ চলছে৷ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সেনারা দাবি করেছে, তারা সোমবার একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে৷ পাইলটের লাশও তারা পেয়েছে বলে দাবি করেছে৷ প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় উড়ন্ত অবস্থায় হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে গেছে৷ তবে সেটি বিদ্রোহীদের গুলিতে হয়েছে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়৷ সরকারি টেলিভিশন কেবল জানিয়েছে, একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে৷ কাবুনের পূর্বের জেলার একটি মসজিদের কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে সরকারি টেলিভিশন৷ এর আগে গত ১৩ আগস্টা বিদ্রোহীরা দাবি করেছিলো পূর্বাঞ্চলের দেইর আল জর এলাকাতে তারা একটি জঙ্গি বিমান ধ্বংস করেছে৷ তবে সেটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷
এদিকে কাবুনি শহরে সকাল থেকেই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে সরকারি বাহিনী৷ লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, কাবুন এবং জুবার জেলাতে আসাদ বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ওই এলাকাগুলোতে বিদ্রোহীদের অবস্থান তুলনামূলক শক্ত৷ দারা শহরে আসাদ বাহিনী গত কয়েকদিনে গণহত্যা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা৷ তারা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪১ টি লাশ তারা শনাক্ত করতে পেরেছে৷
আরআই/এসবি (রয়টার্স, এএফপি)