সিরিয়ায় হত্যালীলা
৭ জুন ২০১২হুলাতে মাত্র ক'দিন আগে যা ঘটেছিল, তারই দ্বিতীয় পর্ব বা ‘এপিসোড টু' করে দেখিয়ে দিল আসাদের মিলিশিয়া বাহিনী৷ বিরোধীদের সংখ্যা যেখানে ভারি, যেখান থেকে মানুষ আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সেই হামা প্রদেশের আসাদের মিলিশিয়া কুয়াবির গ্রামে নৃশংস হামলা চালানো হল৷ এবারেও আক্রমণের লক্ষ্য অসহায় নারী আর শিশুরা৷ এবারেও সেই একই কায়দায় জবাই করে করে হত্যা৷ গ্রাম ঘিরে অকস্মাৎ নেমে আসা আতঙ্ক আর মৃত্যুর মিছিল৷
কী জবাব দিচ্ছে আসাদ প্রশাসন? সেই বাঁধা বুলি৷ হুলার ক্ষেত্রে যা বলা হয়েছিল, এখানেও তার ব্যত্যয় হয়নি৷ ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা', ‘বিদেশি হানাদার বাহিনী', ‘দানবরাও এত নিষ্ঠুর হতে পারেনা' ইত্যাদি৷ দামেস্ক এও ,বলেছে, সন্ত্রাসী হামলায় হামা প্রদেশে মাত্র নয়জনের মৃত্যু হয়েছে৷
নিহতের সংখ্যা এবং কতজন নারী কতজন শিশু ইত্যাকার বিশদ এখনও জানা যায়নি৷ তবে জানা যাবে৷ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কূটনৈতিক স্তরে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহল যেসব প্রচেষ্টা নিচ্ছে, সিরিয়ার সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় তার কোন প্রভাব যে কাজ করছে না. একের পর এক গণহত্যার ঘটনায় সেটা প্রমাণিত হয়ে চলেছে৷ আসাদের মিলিশিয়া বাহিনী বা ভয়ানক শাবিহা বাহিনীর লোকজন কুয়াবের গ্রামের আশপাশের অঞ্চল থেকে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে গেছে৷ গ্রাম ঘিরে ছিল আসাদের ট্যাংক বাহিনী৷ ছুরি মেরে গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করার পর সেই মৃত্যুদূতেরা একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ প্রমাণ লোপাট করতেই এতশত উদ্যোগ৷
সিরিয়ার পরিস্থিতির শেষ কোথায় তা কারও জানা নেই৷ তবে এভাবে একটার পর একটা জনপদ বেছে নিয়ে সেখানে হামলা চালিয়ে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করে আসাদ তাঁর শাসন কতদিন টিকিয়ে রাখতে পারবেন, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় (এএফপি/ এপি)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন