1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় আসাদের জোটই পেলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা

২২ জুলাই ২০২০

সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের দল বাথ পার্টি ও তার জোটসঙ্গীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3fgU4
সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের দল বাথ পার্টি ও তার জোটসঙ্গীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance /AP/Syrian Presidency

মঙ্গলবার সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে হওয়া সংসদ নির্বাচনের ফল জানা যায়৷ প্রত্যাশা যা ছিল, ফলাফল তা-ই হয়েছে৷ ক্ষমতাসীন বাশার আল-আসাদের দল বাথ পার্টি ও তার জোটসঙ্গীদের পক্ষেই এসেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷ রোববারের ভোটে ২৫০টি আসনের মধ্যে ১৭৭টি পেয়েছে এই জোট৷

কিন্তু ভোট দিতে আসেন ৩৩ শতাংশ ভোটার, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ২৪ শতাংশ কম, জানান সিরিয়ার নির্বাচন কমিশনের প্রধান সামির জামরিক৷ নির্বাচনের ফলাফলে কেউ অখুশি থাকলে তা জানানোর সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে আগামী তিন দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে পারেন৷’’

সিরিয়ায় সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলজুড়ে সাত হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে৷ এমন একটা সময়ে এই নির্বাচন হলো যখন সিরিয়ার সামনে একদিকে রয়েছে বাজারে ধ্বস, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলে নানা ধরনের বিধিনিষেধ৷ নতুন করে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর ইস্যুকে সামনে রেখে এবারের নির্বাচনে লড়েন মোট ১ হাজার ৬৫৮জন প্রার্থী৷

কতটা নিরপেক্ষ এই নির্বাচন?

আসাদ সরকারের মূল রাজনৈতিক বিরোধীরা কেউই বর্তমানে সিরিয়ায় নেই৷ সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলসহ একাধিক বিরোধীজোটের সদস্যরা হয় তুরস্কে বা অন্য কোথাও৷ তাদের কেউই এই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ হিসাবে দেখেন না৷ জাতিসংঘের একটি আলোচনায় বিরোধী জোটের সদস্য ইয়েহিয়া আরিদি বলেন, ‘‘সোজা কথায় বললে এই নির্বাচন অবৈধ৷ ক্ষমতাসীন যারা, তারা নিজেরাই সব পছন্দের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, আর নির্বাচতও করেছে৷''

জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ায় মানুষের কাছে স্বাধীনভাবে ভোট দেবার ক্ষমতাটুকুও নেই৷ এটা পুরো সরকারের নাটক৷’’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই নির্বাচনকে ‘সাজানো' ও ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়েছে৷

এসএস/এসিবি (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান