1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া

২২ অক্টোবর ২০১২

সিরিয়ার মানুষ সম্ভবত শান্তিতে ঈদ উদযাপনও করতে পারবেন না৷ ঈদের ছুটির তিন দিন অন্তত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রেখেছিলেন লাখদার ব্রাহিমি৷ তাঁর এ উদ্যোগ সফল হওয়ার আশা ক্ষীণ৷

https://p.dw.com/p/16UI6
Syrian people search for bodies amidst the rubble of buildings destroyed in an airstrike by Syrian government forces in Maaret al-Numaan on October 18, 2012. Syrian regime warplanes launched a new wave of strikes on the northwestern town of Maaret al-Numan, seized by rebels last week, an AFP correspondent reported. AFP PHOTO/BULENT KILIC (Photo credit should read BULENT KILIC/AFP/Getty Images)
ছবি: BULENT KILIC/AFP/Getty Images

আরব লিগের ডেপুটি সেক্রেটারি আহমেদ বেন হেলি জানিয়েছেন, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ কার্যকর হওয়ার খুব ক্ষীণ সম্ভাবনাই দেখছেন তিনি৷ সৌদি আরবসহ অনেকগুলো মুসলিম অধ্যুষিত দেশে শুক্রবার থেকে শুরু হবে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা৷ অথচ সিরিয়ায় এখনো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে৷ সোমবার ভোরে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দামেস্কে বিদ্রোহীদের ওপর ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে সরকারের অনুগত বাহিনী৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস সমর্থিত খবর অনুযায়ী আলেপ্পোতেও তুমুল যুদ্ধ চলছে৷

রবিবার দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি৷ বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সোমবার থেকেই যু্দ্ধ বিরতি শুরু হতে পারে৷ তখন তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন যে, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগ, এটি শান্তি পরিকল্পনার অংশ নয়৷ তিনি আরো জানান, সিরিয়ার ভেতরে এবং বাইরে থাকা সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি৷ ব্রাহিমি তখন সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন জানালেও এ পর্যন্ত উদ্যোগটা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না৷ যুদ্ধ চলছে এবং প্রাণ বাঁচাতে এখনো দেশ ছাড়ছেন অসংখ্য সিরীয় নাগরিক৷ সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টন জর্দানের জাতারি শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেছেন৷ সেখানে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার সিরীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন৷

এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আপাতত শান্তি ফিরেছে৷ এর আগে এক বন্দুকযুদ্ধে সেখানে পাঁচ জন আহত হন৷ গাড়িবোমা হামলায় লেবাননের গোয়েন্দা প্রধান ইসাম আল-হাসান নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে সিরিয়া বিরোধী প্রচারণা এবং আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে৷ বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা গোয়েন্দা প্রধানকে হত্যা করার জন্য সিরিয়াকে দায়ী মনে করে আসছে৷ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন টেলিফোনে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাকিব মিকতাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ এ সময় গোয়েন্দা প্রধান নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে সহায়তা করার আশ্বাস দেন হিলারি৷ নাকিব বলেছেন, তাঁর দেশ প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নেবে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য