সিরিয়ায় পর্যবেক্ষণ মিশন নিয়ে আরব লিগের মাথাব্যথা
৮ জানুয়ারি ২০১২পর্যবেক্ষকরা মন্ত্রী পরিষদকে কি বলবেন, আল-জাজিরা নাকি তার কিছুটা আঁচ পেয়েছে৷ পর্যবেক্ষকরা বলবেন, আরব লিগ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর সিরিয়া সরকারের দমননীতির অন্ত ঘটানোর যে পরিকল্পনা করেছে, সিরিয়া তার বিরোধিতা করছে৷ এই প্রাথমিক রিপোর্টে পর্যবেক্ষকরা জানাবেন যে, সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা অব্যাহত এবং সেনাবাহিনী বিভিন্ন শহর থেকে পশ্চাদপসারণ করেনি৷ এছাড়া সিরিয়া রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেবার প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পালন করেনি, কিছু বন্দিকে এখনও অজ্ঞাত স্থানে ধরে রাখা হয়েছে, বলে নাগরিকদের অভিযোগ৷ রিপোর্টের এ'সব খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা৷
অতএব আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে, এবার জাতিসংঘের সাহায্য চাইবার সময় এসেছে কিনা৷ মন্ত্রীরা দেখবেন, ২৬শে ডিসেম্বর যাবৎ সিরিয়ায় আরব লিগের পর্যবেক্ষণ মিশন কি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে৷ পর্যবেক্ষকরা কি করে সিরীয় কর্তৃপক্ষের থেকে আরো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন, সেটাও বিবেচনা করে দেখা হবে৷
কিন্তু শেষমেষ সিদ্ধান্তটা কি হবে, সে বিষয়ে লিগের সূত্র থেকে যা শোনা যাচ্ছে, তা হল এই যে, মন্ত্রীরা পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতি তাদের সমর্থনই ব্যক্ত করবেন৷ অর্থাৎ সিরিয়ার গণতন্ত্র প্রয়াসী আন্দোলনকারীরা ঐ মিশনকে যা বলছে, সেটা তারা মেনে নেবেন না৷
আন্দোলনকারীরা বলছে, এই দন্তহীন মিশন হল প্রেসিডেন্ট আসাদকে আরো কিছুটা সময় দেওয়ার কৌশল৷ কিন্তু সে কৌশল হয়তো পরিস্থিতিকে আরো বেশি রক্তপাতের দিকে নিয়ে যাবে৷ যেমন রবিবারেই দক্ষিণের দেরা প্রদেশের বসর আল-হরির গ্রাম থেকে ১১ জন সিরীয় সৈন্যের নিহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ আহত হয়েছে আরো ২০ জন, এবং এ' সবই সিরীয় সেনাবাহিনী থেকে ডিফেক্ট করা বিদ্রোহী সৈন্যদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে৷
অথচ এই রক্তপাতের অবসান ঘটানোটাই তো ছিল আরব লিগের পর্যবেক্ষণ মিশনের উদ্দেশ্য৷ কাজেই লিগের সিরিয়া সম্পর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান কাতার প্রস্তাব দিয়েছে, জাতিসংঘের প্রযুক্তিবিদ এবং মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের লিগের মিশনে সাহায্য করতে ডাকা হোক৷ বিশেষ করে জাতিসংঘের ঐ সাহায্যকারীরা যদি নিজেরাও আরব হন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম