বিদ্রোহী নির্যাতন
৪ জুলাই ২০১২এইচআরডাব্লিউ তাদের রিপোর্টে নির্যাতনের বিভিন্ন ধরণের বর্ণনা দিয়েছে৷ এছাড়া সংস্থাটি সিরিয়ার এই বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷
দেহের চামড়ায় পিন ফুটানো, আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা, লাঠি দিয়ে প্রহার, যৌনাঙ্গ সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেয়া - এরকম বেশ কয়েক ধরণের নির্যাতনের খবর দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷
সিরীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করা প্রায় ২০০ কর্মকর্তা এবং কয়েকজন সাবেক বন্দির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ৭৮ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এইচআরডাব্লিউ৷
এর আগে গত মার্চ মাসে আরেক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও একইভাবে বন্দি নির্যাতনের তথ্য প্রকাশ করেছিল৷ সেসময় এমাদ মাহু নামে সাবেক এক বন্দির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল৷ গত বছর জুন মাসের ৯ তারিখে তাঁকে তাঁর বাবাসহ আটক করে নিয়ে যায় ছয়জন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী৷ এরপর দামেস্কের একটি নির্যাতন কেন্দ্রে রেখে তাদেরকে নির্যাতন করা হয়৷ মাহু বলেন, ‘‘আমাদেরকে যে ঘরে রাখা হয় সেটা ছিল খুব ছোট৷ ঐ ঘরে আরও ১৭ জন বন্দি ছিল৷ ঘরটা এতই ছোট ছিল যে ঠিকমত শ্বাস নেয়া যেত না৷ ঘুমানোও যেত না৷''
তিনি বলেন, তাঁর কাছে বিদ্রোহ ও বিদ্রোহীদের সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ যেমন কারা আন্দোলনের ভিডিও তৈরি করছে, কারাই বা বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য দিচ্ছে ইত্যাদি৷ মাহু বলেন, এসব তথ্য দিতে অস্বীকার করায় তার মুখ, পিঠ ও হাঁটুতে লাঠি দিয়ে প্রহার করা হয়৷
বন্দি থাকার সময় সেখানে তিনি অনেক শিশুকেও দেখেছেন বলে জানান৷ তিনি বলেন, শিশুদেরকেও একইভাবে নির্যাতন করা হয়৷ যেমন, ‘‘আমি একটি শিশুকে দেখেছি যার শরীর বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছে৷ শিশু বলে তাকে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি৷''
যেসব নিরাপত্তা কর্মী এধরণের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন মাহু৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদকে তিনি হত্যা করতে চান না৷ কিন্তু বিদ্রোহীদের সঙ্গে তিনি যা করছেন সেজন্য তার বিচার হওয়া উচিত এবং এর মাধ্যমে তার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত৷
প্রতিবেদন: ইয়ানসেন ক্লাউস / জেডএইচ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ