1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১২০ নিরাপত্তা কর্মী নিহত

৭ জুন ২০১১

সিরিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে৷ এতদিন সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিক্ষোভকারীদের মার খাওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ এবার খবর এসেছে তার উল্টো৷

https://p.dw.com/p/11VTn
In this citizen journalism image made on a mobile phone and provided by Shaam News Network, Syrian protesters hold an Arabic banner read:"May God help break the silence of the Arab League," as they march during a protest at the village of Kfar-Nebel, in the northen province of Edleb, Syria, on Friday June 3, 2011. Syrian troops pounded a central town with artillery and heavy machinegun fire Friday, killing at least two people in the latest onslaught as authorities cut off Internet service in several regions in an apparent move to prevent the uploading of videos of anti-regime demonstrations, activists said. (AP Photo/Shaam News Network) EDITORIAL USE ONLY, NO SALES, THE ASSOCIATED PRESS IS UNABLE TO INDEPENDENTLY VERIFY THE AUTHENTICITY, CONTENT, LOCATION OR DATE OF THIS HANDOUT PHOTO
সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে আড়াই মাস ধরেছবি: AP/Shaam News Network

সরকারি টেলিভিশন বলছে, সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ সদস্য৷

কখন, কীভাবে?

ঠিক কখন ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে সঠিক খবর জানা যায়নি৷ কারণ সিরিয়ায় খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ৷ সেজন্য সরকারি টেলিভিশনই মূলত বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর কাছে খবরের প্রধান উৎস৷ এর পাশাপাশি কয়েকজন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে যা পাওয়া যায় তাই সরবরাহ করে থাকে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা৷ ফলে সরকার বা বিক্ষোভকারীরা ঠিক বলছেন কি না সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়না বার্তাসংস্থাগুলোর পক্ষে৷ সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন বলছে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা একটি আঞ্চলিক পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে ৮০ জনকে হত্যা করেছে৷ অনেক মৃতদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নেয়া হয়েছে৷ অনেকের মৃতদেহ নদীতে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে৷ রাজধানী দামেস্ক থেকে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার উত্তরের শহর জিসরাশ শুগুরে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ কার্যালয় ছাড়াও আরও অন্যান্য জায়গাতেও হামলা করেছে বিক্ষোভকারীরা৷ তারা সরকারি ভবনে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে৷ এসব তথ্যই দিয়েছে সরকারি টেলিভিশন৷

সরকারের প্রতিক্রিয়া

দেশটির তথ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঐ শহরে সেনাবাহিনী পাঠানো হবে৷ তবে কয়েকজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে এটা তাদের কাজ নয়৷ বরং পুলিশ বাহিনীর ভেতরে কয়েকজন সদস্যের বিদ্রোহের ফল এটি৷ অর্থাৎ অনেকটা বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের মতো৷

বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর দিচ্ছে৷ এছাড়া এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এর মধ্যে গত সপ্তাহে মাত্র সাড়ে চারশো রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে সরকার৷ আন্তর্জাতিক মহল সিরিয়ার এসব ব্যাপারে এখনো তেমন প্রতিক্রিয়া জানায়নি৷ তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক কর্মকর্তা বলছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি নির্যাতনের নিন্দা জানানো৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য