সিরিয়ায় সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হামলায় ১২০ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
৭ জুন ২০১১সরকারি টেলিভিশন বলছে, সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ সদস্য৷
কখন, কীভাবে?
ঠিক কখন ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে সঠিক খবর জানা যায়নি৷ কারণ সিরিয়ায় খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ৷ সেজন্য সরকারি টেলিভিশনই মূলত বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর কাছে খবরের প্রধান উৎস৷ এর পাশাপাশি কয়েকজন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে যা পাওয়া যায় তাই সরবরাহ করে থাকে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা৷ ফলে সরকার বা বিক্ষোভকারীরা ঠিক বলছেন কি না সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়না বার্তাসংস্থাগুলোর পক্ষে৷ সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন বলছে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা একটি আঞ্চলিক পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে ৮০ জনকে হত্যা করেছে৷ অনেক মৃতদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নেয়া হয়েছে৷ অনেকের মৃতদেহ নদীতে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে৷ রাজধানী দামেস্ক থেকে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার উত্তরের শহর জিসরাশ শুগুরে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পুলিশ কার্যালয় ছাড়াও আরও অন্যান্য জায়গাতেও হামলা করেছে বিক্ষোভকারীরা৷ তারা সরকারি ভবনে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে৷ এসব তথ্যই দিয়েছে সরকারি টেলিভিশন৷
সরকারের প্রতিক্রিয়া
দেশটির তথ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঐ শহরে সেনাবাহিনী পাঠানো হবে৷ তবে কয়েকজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে এটা তাদের কাজ নয়৷ বরং পুলিশ বাহিনীর ভেতরে কয়েকজন সদস্যের বিদ্রোহের ফল এটি৷ অর্থাৎ অনেকটা বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের মতো৷
বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর দিচ্ছে৷ এছাড়া এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এর মধ্যে গত সপ্তাহে মাত্র সাড়ে চারশো রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে সরকার৷ আন্তর্জাতিক মহল সিরিয়ার এসব ব্যাপারে এখনো তেমন প্রতিক্রিয়া জানায়নি৷ তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক কর্মকর্তা বলছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি নির্যাতনের নিন্দা জানানো৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম