চোরেদের পোয়াবারো
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪চোর নিজের পাড়ায় চুরি করলেই সমস্যা, কখন যে ধরা পড়ে যাবে তার নেই ঠিক! কিন্তু বেপাড়ায় সেই ঝুঁকি কম৷ বামাল সমেত পালাতে পারলেই হলো৷ ধরা পড়ার ভয় প্রায় নেই বললেই চলে৷ সীমাহীন ইউরোপেও চোর-জোচ্চররাও আরও বেশি করে সেই পথই বেছে নিচ্ছে৷ ইউরোপের শেঙেন এলাকার ভেতরে সীমানায় কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে৷
তবে চোর-পুলিশের খেলাও চলছে৷ সীমাহীন ইউরোপে বিভিন্ন দেশের পুলিশের মধ্যে সহযোগিতা, সাধারণ তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার – এ সব বেড়ে চলেছে৷ ফলে চোর ডালে-ডালে এগোলে পুলিশও এগোতে চায় পাতায়-পাতায়৷
জার্মানির কোলোন শহরকে কেন্দ্র করে এমনই একটি পুলিশি অভিযান দেখা গেলো৷ তাতে বেশ কয়েকজন ‘মোবাইল' বা ভ্রাম্যমাণ চোরেদের পাকড়াও করতে পেরেছে পুলিশ৷ ২,৮০০ গাড়িতে প্রায় ৩,৮০০ পুলিশকর্মী এতে অংশ নেন৷ ধরা পড়েছে ৩০ জন অপরাধী, যাদের মধ্যে আগে থেকেই ১৩ জনের খোঁজ চলছিল৷ ফেডারেল পুলিশ, শুল্ক দপ্তর, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস-এর পুলিশ কর্মীরাও এই অভিযানে অংশ নেন৷
এমন অভিযানে প্রায়ই কেঁচো খুঁড়তে সাপ পাওয়া যায়৷ এবারেও চাই হয়েছে৷ একটি গল্ফ ক্লাবে চুরি করার সময় চারজন চোর হাতেনাতে ধরা পড়ে৷ তাদের গাড়িতে দামি গল্ফ সেট ছাড়াও ল্যাপটপ ইত্যাদি অনেক চোরাই মালপত্র পাওয়া যায়৷ রুমেনিয়া থেকে আসা এই দল আশেপাশের এলাকায় আরও অনেক ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ রুমেনিয়ার আরও একটি দলকে ধরতে পেরেছে পুলিশ৷ তাদের গাড়িতেও অনেক কিছু পাওয়া গেছে৷ বেলজিয়াম সীমান্তে আরেকটি সন্দেহজনক গাড়ি আটক করে পুলিশ নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি সহ চোরেদের একটি দলকে আটক করেছে৷
এসবি/ডিজি (ওটিএস)