সু চির নোবেল প্রত্যাহার হচ্ছে না
৩০ আগস্ট ২০১৮নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউটের পরিচালক উলাভ নিউলিস্তা বুধবার বলেছেন, ‘‘নোবেল কমিটির কাছে শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহারের কোনো প্রশ্নই নেই৷ নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিধান তা অনুমোদন করে না৷''
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯১ সালে এনএলডি নেতা সু চিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়৷ সে সময় কারাবন্দি থাকায় সু চি এই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন ২১ বছর পর৷
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের সেনা শাসনের পর মিয়ানমারে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে সু চির দল৷ সাংবিধানিক বাধার মুখে প্রেসিডেন্ট হতে না পেরে স্টেট কাউন্সিলর পদ নিয়ে তিনিই কার্যত দেশটির সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন৷
গত বছর রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়৷ সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যর্থতা এবং নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েন সু চি৷ তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারেরও দাবি ওঠে৷
এদিকে রোহিঙ্গা নিপীড়নের একবছর পূর্তি উপলক্ষে ২৭ আগস্ট জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা' চালানোর জন্য মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের দায়ী করা হয়েছে৷
‘সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল'
সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের পক্ষে যুক্তি না দিয়ে সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল, বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিদায়ী হাই কমিশনার জেইদ রা'আদ আল হুসেন৷
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘‘তিনি (সু চি) এমন এক পদে ছিলেন যেখান থেকে কিছু করতে পারতেন৷ তিনি চুপ থাকতে পারতেন, অথবা আরো ভালো হতো, তিনি পদত্যাগ করতে পারতেন৷''
এএইচ/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)