সু চির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কে, কী বললেন?
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত রাখাইনে কোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষ ও সেখানে কোনো ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' চলেনি বলেও দাবি করেন সু চি৷ বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, যে কোনো সময় যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত আছে মিয়ানমার৷ ‘‘যাচাইয়ের মাধ্যমে যে শরণার্থীরা এ দেশের বলে প্রতীয়মান হবে, তাঁদের কোনো সমস্যা ছাড়াই গ্রহণ করা হবে এবং তাঁদের নিরাপত্তা ও মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করা হবে,'' বলেন তিনি৷
সু চির এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রদূত৷ চীনের রাষ্ট্রদূত হং লিয়াং বলেন, সু চি'র বক্তব্য মিয়ানমার পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে৷ ‘‘চীনের অবস্থান পরিষ্কার৷ রাখাইনে শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমার সরকারের প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন করি৷''৷
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলায় এ. লিস্টোপাদোভ বলেন,সু চির বক্তব্য বিশ্বের কাছে ভালো সংকেত পাঠাবে৷ জাতিগত নিধন, গণহত্যা এসব বিষয় প্রমাণের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণাদি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সু চির বক্তব্যের সমালোচনা করেছে৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিকের আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ বলেছেন, ‘‘অং সান সু চি আজ দেখালেন তিনি ও তাঁর সরকার রাখাইনে ঘটে চলা নৃশংসতা বিষয়ে এখনও বালুতে মাথা গুঁজে রয়েছে৷''
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের উপ পরিচালক ফিল রবার্টসন ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইনে কোনো সংঘর্ষ হয়নি বলে সু চি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাঁর প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করেন, ‘‘যদি তা সত্য হয়, তাহলে আমরা গত দুই সপ্তাহে যে গ্রাম পুড়ে যাওয়ার ছবি দেখেছি, সেগুলো কে করছে?''
মিয়ানমারে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ পল এডওয়ার্ডস বলেছেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখের পর সেখানে কোনো সামরিক অভিযান না চলার সু চির বক্তব্যের ক্ষেত্রে তাঁর ফেস ভ্যালুকে বিবেচনায় নিতে হবে৷ তবে সেখানে না যাওয়ায় আমরা আসলে জানি না সেখানে কী ঘটছে৷''
কূটনীতিকরা পরিস্থিতি দেখতে রাখাইনে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সু চি৷ তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের আরেক কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু কির্কউড৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)