মিয়ানমারের ‘প্রক্সি' প্রেসিডেন্ট!
১৫ মার্চ ২০১৬মঙ্গলবার মিয়ানমারের সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেন সাংসদরা৷ এতে ৬৫২টি ভোটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬০ ভোট পান ৭০ বছরের থিন চ৷
সু চির দল এনএলডি কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য থিন চ-এর নাম প্রস্তাব করেছিল৷ সংসদে এনএলডির আসন বেশি থাকায় তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন৷ এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে তাঁর দায়িত্ব নেয়ার কথা৷
১৯৬২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার শাসন করে আসছিল সামরিক বাহিনী৷ তাদের তৈরি করা সংবিধানের একটি ধারার কারণে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি৷ তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, যেই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন ক্ষমতা তাঁর (সু চি) কাছেই থাকবে৷ অবশ্য কীভাবে তিনি এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন তা বিস্তারিত জানাননি৷
১৯৪৬ সালে জন্ম নেয়া থিন চ সম্পর্কে বিশ্ব প্রথম জানতে পারে ২০১০ সালে৷ ঐ বছর সু চি গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন৷ মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের উদ্দেশ্য সু চি যখন হাত নাড়ছিলেন তখন তাঁর ডানপাশে ছিলেন থিন চ৷
সু চির সঙ্গে স্কুলে একসঙ্গে পড়েছিলেন থিন চ৷ এরপর সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবসময় সু চির পাশেই ছিলেন তিনি৷ তাঁর বাবা মিয়ানমারের প্রখ্যাত কবি ছিলেন৷ এছাড়া এনএলডির সদস্যও ছিলেন৷ থিন চ-এর স্ত্রী বর্তমানে একজন সাংসদ ও তাঁর বাবা একসময় এনএলডির মুখপাত্র ছিলেন৷
থিন চ ১৯৬৮ সালে ইয়াঙ্গনের ইকোনমিকস ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন৷ এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানেও লেখাপড়া করেন তিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার পাশাপাশি অর্থ, পরিকল্পনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর৷
অভিনন্দন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট থিন চ-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
থিন চ-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও৷ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে থিন চ-এর সঙ্গে কাজ করার ঘোষণাও দেন তিনি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)
সু চির জায়গায় থিন চ কি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য? জানান নীচের ঘরে৷