সুদানে ধর্মত্যাগের শাস্তি বাতিল
২৩ জুলাই ২০২০দেশটির বিচারমন্ত্রী নাসরেদ্দীন আব্দুলবারি জানিয়েছেন, শিগগিরই এই আইন দেশটিতে কার্যকর হবে৷
তিন দশকের শাসন শেষের বছরখানেক আগে তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে পতন ঘটে ইসলামপন্থি স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের৷ এরপর থেকে দেশটির নানা আইন ও বিচারব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে৷
তবে অমুসলিমদের মদ্যপানের অনুমতি দেয়া হলেও শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে৷ তারা প্রকাশ্যে মদ পান করতে পারবেন না এবং জনগণের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কিছু করতে পারবেন না৷
১৯৮৩ সালে সুদানে ইসলামি আইন চালু করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেইরি৷ রাজধানী খার্তুমের পাশে নীল নদের জলে মদের বোতল ছুঁড়ে ফেলেন তিনি৷ ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ৷ কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সুদানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীও বাস করেন৷
সংস্কার চলছে
বিচারমন্ত্রী জানিয়েছেন,ধর্মত্যাগকে এতদিন অপরাধ হিসেবে দেখা হলেও সে আইনে পরিবর্তন আসছে৷ একই সঙ্গে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে আইনে৷ ইউনিসেফের ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, সুদানে ৮৫ শতাংশেরও বেশি নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়৷
এখন থেকে সন্তানদের নিয়ে কোথাও ভ্রমণ করতে হলে নারীদের আর পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হবে না৷
বিচারমন্ত্রী আব্দুলবারি বলেন, ‘‘কোনো ব্যক্তি বা গ্রুপকে ‘বিধর্মী' বা ‘অবিশ্বাসী’ বলার অধিকার কারো নেই৷ এর ফলে সমাজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়৷ ওমর আল-বশিরের ক্ষমতাচ্যূতির পর সুদানে বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে৷’’
আন্দোলনকারী ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে গঠন করা এ সরকার শুরু থেকেই বেশ কিছু সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে৷
তিন বছরের জন্য গ্রহণ করা সংবিধানে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ‘ইসলাম’ কথাটিও বাদ দেয়া হয়েছে৷ এ মাসের শুরুতে জনগণের কাছে আরো ক্ষমতা দেয়ার দাবিতে আবার রাজপথে নামেন হাজার হাজার আন্দোলনকারী৷ এরপর আরো বড় বড় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটির সরকার৷
এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)
২০১৯ সালের জুলাইর ছবিঘর দেখুন...