1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসগার আলী নিহত

১৪ আগস্ট ২০১২

বিদ্রোহীদের গুলিতে নিহত সুদানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল আসগর আলীর লাশ আগামী সপ্তাহে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে৷ শান্তি মিশনে যোগ দেয়ার এক মাসের মাথায় তিনি নিহত হলেন৷

https://p.dw.com/p/15orK
ছবি: AP

পুলিশ কনস্টেবল আসগর আলী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিয়ে সুদানে যান গত মাসের ৮ তারিখ৷ আর নিহত হওয়ার একদিন আগে, গত শুক্রবার, সর্বশেষ তাঁর বাবা জোয়ার্দ্দার প্রামানিকের সঙ্গে সুদান থেকে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি৷ তখন আসগর জানিয়েছিলেন যে, তিনি ভালো আছেন৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান নিহত আসগর আলীর ভাইয়ের ছেলে হাবিবুর রহমান শামীম৷ স্বাভাবিকভাবেই, পাবনায় আসগর আলীর গ্রামের বাড়ি সাথিয়ার ভুইখালিতে তাঁর স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷

শামীম জানান, আসগর আলী ছিলেন চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়৷ তিনি স্ত্রী এবং দু'টি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন৷ তারা পাবনার সাথিয়ায় স্থানীয় একটি কেজি স্কুলে পড়াশুনা করে৷ শামীম জানান, তাঁদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়৷ গতকাল তাঁরা আসগর আলীর নিহত হওয়ার খবর পান৷ স্থানীয় থানা পুলিশ তাঁদের এই খবর দেয়৷ তবে আসগরের বাবা-মাকে এখনও মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি৷ তাঁরা জানেন যে, তাঁদের ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে৷

বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান ডয়চে ভেলেকে জানান, সুদানের দারফুর এলাকায় লিয়েনার অটোসে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় পাহাড়া দেয়ার সময় শনিবার রাত ৩টার দিকে বিদ্রোহীরা হামলা চালালে কনস্টেবল আসগর আলী নিহত হন৷

তিনি জানান, আসগর আলী ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন৷ তাই তাঁর পরিবার বিধিমত সব ধরনের ক্ষতিপূরণ পাবে৷

বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ শুরু করে৷ বর্তমানে ৪০টি দেশের ৫২টি শান্তি মিশনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ১,০০,০১৪ জন সদস্য কর্মরত আছেন৷ এই মিশনে এখন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরাও অংশ নিচ্ছেন৷ পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে এখন ২০০০ পুলিশ সদস্যও কর্মরত আছেন৷ বিদ্রোহীদের গুলিতে শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য