সুন্দর নকশায় গড়ে তোলা কয়েকটি নগরী
বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে নগর পরিকল্পনাবিদরা একটি শহরকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেন৷ এমন কয়েকটি সুন্দর নকশার শহরের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
সিঙ্গাপুর
সফল নগর পরিকল্পনার উদাহরণের কথা আসলে সিঙ্গাপুর সিটির কথা আসবেই৷ সেই ১৮১৯ সাল থেকে পরিকল্পনামাফিক সিঙ্গাপুরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে৷ ব্যবহারযোগ্য নয় এমন জলাশয় এলাকায় শহর রাষ্ট্রটি গড়ে উঠেছে৷ শহরের বিভিন্ন অংশকে এমন স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে, কোনো কাজে বাসিন্দাদের সেন্টারে যেতে হয় না৷ ঘনবসতিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও পরিকল্পনা করে সেখানে সবুজের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
চন্ডিগড়
ব্রিটিশ শাসনামল শেষ হওয়ার পর ভারতে যতগুলো শহর পরিকল্পনা করে গড়ে তোলা হয় তার মধ্যে চন্ডিগড় একটি৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর হিসেবে এর নাম রয়েছে৷ বিখ্যাত ফরাসি স্থপতি লে কোরবুজিয়ে শহরের পরিকল্পনা করেছিলেন৷
সৌল
১৩ শতকে সৌলকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল৷ সেটি এখনও চলছে৷ সম্প্রতি ‘২০৩০ সৌল প্ল্যান’ নামে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ নাগরিকরা এর পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷
আমস্টারডাম
শহরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে বেশ কিছু খাল৷ বাসিন্দাদের চলাফেরার একটি অংশ এই খাল দিয়েই হয়৷ ১৬১৩ থেকে ১৬৫৬ সালের মধ্যে এ সব খাল তৈরি করা হয়৷ বর্তমানে শহরের মধ্যে গাড়ি চলাচলকে অনুৎসাহিত করা হয়৷ তাই সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে সুপরিকল্পিত গণপরিবহণ ব্যবস্থা৷ আছে সাইকেল চলাচলের জন্য বিশেষ রাস্তা৷
জুরিখ
গণপরিবহণের ক্ষেত্রে অনেকসময় বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শহর বলে মনে করা হয় জুরিখকে৷ সেখানে বাস, ট্রেন, ট্রাম আর ফেরি এত সংখ্যায় এবং এত সময় মেনে চলে যে, গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না৷ শহরের নগর আর বিনোদনের এলাকা পৃথক রাখার চেষ্টা করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা৷
কোপেনহেগেন
২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হতে চায় শহরটি৷ তাই বায়ু বিদ্যুৎ, বায়োমাস জ্বালানি সহ অন্যান্য বিকল্প জ্বালানির সাহায্য নিচ্ছে শহর কর্তৃপক্ষ৷ এছাড়া শহরের সুয়েজ ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিরও উন্নতি করা হয়েছে৷ সাইকেল ও পায়ে হাঁটার পথ গড়ে তোলা হচ্ছে৷
ড্যুসেলডর্ফ
জার্মানির এই শহরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেকখানি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ পরে দ্রুতগতিতে শহরকে পুনরায় গড়ে তোলা হয়েছে – যা এনেছে অর্থনৈতিক উন্নতি৷
প্যারিস
ভালোবাসার শহর বলে পরিচিত ফ্রান্সের রাজধানীর নগর পরিকল্পনাও সবার কাছে শিক্ষণীয়৷ অবশ্য ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ের আগে পরিস্থিতিটা তেমন ছিল না৷ পরে ব্যারন হাউসমানের পরিকল্পনায় প্যারিসকে সাজানোর চেষ্টা করা হয়৷ এর আওতায় জনবসতিপূর্ণ এলাকা ভেঙে সেখানে প্রশস্ত রাস্তা, পার্ক, চত্বর ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়৷ আর বসবাসের জন্য শহরের পরিধি বাড়িয়ে সেখানে ভবন গড়ে তোলা হয়েছে৷