পশ্চিমবঙ্গের বর্জ্যে সুন্দরবনের ক্ষতি
১২ এপ্রিল ২০১৩কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি একটি গবেষণা হয়েছে৷ এতে জানা গেছে, হুগলির পানিতে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে৷
হুগলির বাসিন্দা সাদা চিংড়ির দেহ পরীক্ষা করে গবেষকরা দস্তা, তামা ও সীসার উপস্থিতি পেয়েছেন৷
প্রধান গবেষক ড. অভিজিৎ মিত্র বলছেন হুগলির মোহনায় গড়ে ওঠা শিল্প কারখানা এর কারণ৷ কাগজ, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যাল, প্লাস্টিক, চামড়া, খাবার, পাট, টায়ার থেকে শুরু করে সাইকেল তৈরি - সব ধরণের কারখানা রয়েছে সেখানে৷
গবেষণা দলের সদস্য টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ্র বিকাশ ভট্টাচার্য বলছেন, কারখানা থেকে যে বিষাক্ত পদার্থ বের হয় তা শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক৷ কেননা এই পদার্থযুক্ত সাদা চিংড়ি খাওয়ার কারণে সেগুলো মানুষের শরীরেও প্রবেশ করে৷
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের কাছে অবস্থিত নয়াচর দ্বীপের কাছে সবচেয়ে বেশি বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে৷ আর কম পাওয়া গেছে সাতজেলিয়া দ্বীপের কাছে যেটা শিল্পাঞ্চল থেকে অনেক দূরে৷
জেডএইচ / এসবি (পিটিআই)