সুপেয় পানির সংকটে লিবিয়া
খনিজ তেলে ভরপুর লিবিয়া উত্তর আফ্রিকার ধনী দেশগুলোর একটি৷ কিন্তু সে দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি করেছে নানামুখি সংকট৷ ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সুপেয় পানির সংকটের সম্মুখীন৷
সংকটে মৌলিকসেবা
স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও ঝুঁকির মুখে আছে লিবিয়া৷ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে৷ যুদ্ধের দামামায় ১৪৯টি পানি সরবারহ লাইনের ১০১টি নষ্ট হয়ে গেছে৷
ধ্বংসের মুখে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা
শুষ্ক মরুভূমি দেশ লিবিয়া৷ পানির চাহিদা যোগানে ৮০-র দশকে ‘গ্রেট ম্যান-মেইড রিভার’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করেন গাদ্দাফি৷ এর মধ্য দিয়ে দেশের ৭০ ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছে যেত জল৷ কিন্তু গাদ্দাফির পতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ে সেই পানি সরবরাহ৷
যুদ্ধের দামামা
২০১১ সালে গাদ্দাফির পতন হলেও শান্তি ফেরেনি লিবিয়ায়৷ উলটে সংঘাত ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে৷ পশ্চিমা সমর্থিত সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও সাধারণ মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ খাটাতে পারেনি৷ বরং জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বে দেশটির পূর্ব ভাগ দখল করে সেনাবাহিনী৷
পানিও যখন যুদ্ধাস্ত্র
নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে দেশের পানীয় জলের সরবরাহকে নষ্ট করেছে বিদ্রোহীরা৷ আর এই ফাঁকে, কিছু মানুষ নগদ অর্থের লোভে পানির পাইপ, সরঞ্জাম বিক্রি করে ফেলেছে৷ যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে পানির ব্যবহার নিয়ে উভয় পক্ষকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ৷
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
ইউনিসেফ বলছে, চলমান সংকটের সমধান না এলে, চার লাখ মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হবে৷ ফলে হেপাটাইটিস-এ, কলেরা, ডায়েরিয়ার মতো রোগ মহামারি আকার নিতে পারে৷
দূষিত পানি
পানির সংকট তো আছেই, কিন্তু যতটুকু পানি মিলছে সেটাও দূষণে ভরা৷ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আর লবণ ঘনত্ব এ পানিকে করেছে ব্যবহার অনুপযোগী৷ জাতীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান বদর আল-দিদিন আল-নজরও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন৷