তাড়াতাড়ি খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
২৭ এপ্রিল ২০২০সোমবার সকালে গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিাফোর ডটকম৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাস মহামারীর বিস্তার কমার পরই কেবল সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ভাববে৷ স্কুল এখন আমরা খুলবো না৷ স্কুল কেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটাও খুলবো না৷
‘‘সেটা আমরা কখন খুলবো? অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্কুল-কলেজ সবই বন্ধ থাকবে৷ যদি তখনও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমে তবে যখন এটা থামবে আমরা তখনই খুলবো৷ বেশি সমাগম যেন না হয়৷''
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়৷ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় রোগ নিয়ন্ত্রণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার৷ বন্ধ হয়ে যায় সব অফিস আদালত৷ গণপরিবহন চলাচলও সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ তারপর একে একে পাঁচ দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ সাধারণ ছুটির সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ও বাড়তে থাকে৷
গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়৷ আটকে আছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও৷
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা রাখতে ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টিভিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস দেখানো শুরু করে সরকার৷ আর প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে৷
এই ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া হচ্ছে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে এসব বাড়ির কাজ দেখাতে হবে৷ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ এছাড়া, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছে৷
বেশি করে ফসল চাষের আহ্বান
করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে পৃথিবী৷ একদিকে কলকারখানা বন্ধ৷ অন্যদিকে শ্রমিকের অভাবে ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে৷ পরিবহন না থাকায় শস্য বিপণনও দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত৷ এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বেশি করে ফসল উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘এক টুকরো জমিও আপনারা ফেলে রাখবেন না৷ ফলমূল, শাকসবজি, শস্য যা পারেন উৎপাদন করবেন, যাতে করোনা মহামারির পর বিশ্বজুড়ে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে তা থেকে আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে পারি৷
‘‘কৃষিই একমাত্র মানুষকে বাঁচাতে সক্ষম৷''
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)