সেরা সুন্দরী ‘গ্র্যাজিওলাইট', সেরা মেধাবী ‘রজার'
১১ আগস্ট ২০১০গলায় নানা বাহারের সুদৃশ্য হার৷ মাথায় বাহারি ফিতা কিংবা ফুলের সাজ৷ নাদুসনুদুস ভঙ্গিতে বিচারকের সামনে দিয়ে পাছা দুলিয়ে চলেছে একে একে৷ কারণ বিচারকের মন জয় করতে পারলেই শিরে শোভা পাবে ‘মিস ফটোজেনিক', ‘মিস বিউটি' কিংবা ‘মিস ট্যালেন্টেড' খেতাব আর মুকুট৷ ভাবছেন এসব প্রতিযোগীর পোশাকের কথা বলা হচ্ছে না কেন? সেটির কি আদৌ কোন বালাই নেই? সত্যি, কারো পরনেই কিছু নেই৷ কারণ প্রতিযোগীদের কেউ তো মানুষ নয়৷ প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক পাল ছাগল৷
আর এই মুকুটের লড়াইয়ে শুধু যে ছাগলরাই উত্তেজিত, তা নয় বরং উৎসাহ-উদ্দীপনা আর তুমুল আগ্রহ গোটা শহরবাসীর৷ চলছে বিতর্ক আর জল্পনা-কল্পনা – কার ছাগল পাবে এসব খেতাব? মালিকরা নাকি একে অপরের ছাগলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চালিয়েছেন গোয়েন্দাগিরি৷ এমনকি কারো ছাগল নেশা জাতীয় গুল্ম ‘ব্রুম' এর প্রতি আসক্ত কিনা সেটিও খোঁজ নিয়েছেন প্রতিপক্ষরা৷ শুধু তাই নয়, এসব নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছে ফেসবুকেও৷ সেখানে উত্তপ্ত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ৫০০ ভক্ত৷
প্রতিযোগীদের নাম থাকবে না তাতো হতে পারে না৷ সেরা পুরস্কারটি পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিলেন চাষি ভিটাওটাস গেজনা৷ তাঁর দাবি, ‘‘সবারই বেশ সুন্দর সুন্দর ছাগল রয়েছে, কিন্তু আমারটি স্বয়ং নাওমি ক্যাম্পবেল৷'' সুপার মডেল নাওমির নামেই ডাকা হচ্ছে গেজনার ছাগলটিকে৷ তবে শেষ পর্যন্ত সেরা সুন্দরীর মুকুটটি নাওমি'র ভাগ্যে জোটেনি৷ মুকুটটি গেছে গ্র্যাজিওলাইটের শিরে৷ ফলে বেশ হতাশ চাষি গেজনা৷ তবে সুন্দরী গ্র্যাজিওলাইটের স্তন পছন্দ হয়নি দর্শকদের৷ তাই গ্যালারি থেকে এক দর্শকের মন্তব্য, ‘‘ও তো বড় হলে গাভী হয়ে যাবে৷'' যাহোক, সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে ‘মিস ট্যালেন্টেড' খেতাব জিতেছে ‘রজার দ্য গোট'৷ সে নাকি তার গায়ের উৎকট গন্ধ না ছড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য পেয়েছে৷ আর তাতেই এমন পুরস্কার পেল রজার৷
প্রথমবারের মতো এই ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ছাগলপ্রেমী রামিগালা শহরের কর্তৃপক্ষ৷ এমনকি ঐ শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার করা হয় ছাগল৷ আর সেকারণেই স্থানীয়রা এখনও শহরটিকে পুরনো নাম ‘ওজকাওস্টিস' বলে ডাকতেই বেশি পছন্দ করে৷ ‘ওজকাওস্টিস'এর অর্থ হচ্ছে ‘ছাগলনিবাস'৷ লিথুয়ানিয়ার এই শহরের মেয়র পোভিলাস জাগুনিসও স্বীকার করেছেন, এর আগে তাঁর শহরে এতো বেশি মানুষের সমাবেশ আর কখনই তিনি দেখেননি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন