সেরা সুন্দরীর মুকুট আবার ভেনেজুয়েলার ঝুলিতে
৭ নভেম্বর ২০১১নাম ইভিয়ান লুনাসল সার্কোস৷ বয়স ২২৷ রবিবার রাতে লন্ডনে অন্যান্য ১১৩টি দেশের সুন্দরীদের পেছনে ফেলে ২০১১ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড' শিরোপা জিতে নিলেন তিনি৷ যে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা যা করেন, তিনিও সেভাবেই আবেগে আপ্লুত হয়ে নিজের আনন্দ প্রকাশ করলেন৷ গত বছরের সেরা সুন্দরী – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলেকজান্ড্রা মিলস নিজের মুকুট ইভিয়ানের মাথায় বসিয়ে দেন৷ এবছর দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন মিস ফিলিপাইন্স গোয়েন্ডোলিন রুয়াইস৷ তৃতীয় সুন্দরী হয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর আমান্দা পেরেস৷ ভারতের সুন্দরী কনিষ্ঠা ধংকার এবারের প্রতিযোগিতায় বেশিদূর এগোতে পারেন নি৷ ২০০০ সালে আজকের বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পর আজ পর্যন্ত ভারতের কোনো প্রতিযোগী ‘মিস ওয়ার্ল্ড' শিরোপা লাভ করতে পারেন নি৷
ইভিয়ান সার্কোস'এর জীবনটা মোটেই এত মসৃণ ছিল না৷ মাত্র ৮ বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হয়েছিলেন তিনি৷ তারপর খ্রীষ্টান এক মঠে নান বা সন্ন্যাসিনীদের কাছে বড় হয়েছিলেন ইভিয়ান৷ হাল ছেড়ে না দিয়ে স্কুলের পাট চুকিয়ে হিউম্যান রিসোর্স বা মানব সম্পদ দিয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি লাভ করেছেন৷ এখন কাজ করেন এক সম্প্রচার কেন্দ্রে৷ সুন্দরী হলে তেমন বুদ্ধি না থাকলেও চলবে – এমন ধারণা ভুল প্রমাণ করে ইভিয়ান সহ বাকি প্রতিযোগীদের একটা বড় অংশই কমপক্ষে ৩টি ভাষায় কথা বলতে পারেন৷ বুদ্ধিমত্তা ছাড়া সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যায়, আয়োজকরা বার বার সেদিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷
সুন্দরী প্রতিযোগিতা, অথচ বিতর্ক নেই – এমনটা কি হতে পারে? নিন্দুকেরা শুরু থেকে বলে আসছেন, এসব করে নারীকে শুধু পণ্য হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ তাদের শরীর দেখিয়ে প্রচলিত ধারণাকেই আরও জোরদার করা হচ্ছে৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন সমালোচনা৷ বহুজাতিক কোম্পানিগুলি বাজার খুঁজতে অথবা বাজারে নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে এই সব প্রতিযোগিতার স্পনসর হিসেবে এগিয়ে আসে৷ লন্ডনেও রবিবারের অনুষ্ঠানের সময় হলের বাইরে প্রায় ৫০ জন নারীবাদী ‘মিস ওয়ার্ল্ড' প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান৷ তবে ১৫০টি দেশে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ রবিবার রাতে টেলিভিশনের পর্দায় ‘মিস ওয়ার্ল্ড' প্রতিযোগিতা দেখেছেন৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক