1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোনালি আঁশের দেশে সোনালি ব্যাগ

১৫ জানুয়ারি ২০২০

পাটের প্রাচুর্যের কারণে একটা সময় বাংলাদেশকে বলা হতো সোনালি আঁশের দেশ৷ সেই পাটের আঁশ থেকে একরকম পলিব্যাগ আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের একজন পরমাণুবিজ্ঞানী৷ নাম দিয়েছেন সোনালী ব্যাগ৷ বলা হচ্ছে, শতভাগ পরিবেশবান্ধব এই ব্যাগ৷

https://p.dw.com/p/3WDmz
Bangladesch nachhaltige Produkte aus Jute
ছবি: DW/M. M. Rahman

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠে বনশ্রীতে রয়েছে একটি কাঁচাবাজার৷ স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ততম অংশটি মাছের বাজার৷ দোকানিরা যেমন জমিয়ে নানান মাছের পসার বসান, তেমনি বাজার জুড়ে ছড়াছড়ি আরেকটি বস্তুর৷ স্থানীয়ভাবে বস্তুটি পরিচিত পলিথিন ব্যাগ হিসেবে৷ কোথায় নেই তা!

এই পলিথিন ব্যাগগুলো পরিবেশের জন্য কতটা ভয়াবহ তা বোঝা যাবে বাজারের ঠিক উল্টো পাশের খালটি দেখলে, যেন পাহাড় জমেছে পলিথিনের৷ পলিথিনে দূষিত এই খালটি থেকে বের হচ্ছে পচা গন্ধ৷

বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ৷ কিন্তু এর ব্যবহার বন্ধ করতে পারেনি সরকার৷ অনেকেই মনে করেন পলিথিনের মতো হালকা ও সস্তা অথচ পরিবেশবান্ধব বিকল্প না থাকাই এর কারণ৷

বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পাট উৎপাদন করে৷ বাজারে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগও পাওয়া যায়৷ কিন্তু এর ব্যবহার অনেক কম৷ এ অবস্থায় পরমাণু বিজ্ঞানী মুবারক আহমেদ খান ভাবছেন ভিন্নভাবে৷ কয়েক বছর কঠিন সাধনা করে তিনি পাটের আঁশ দিয়ে পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ তৈরি করেছেন৷

পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ

নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে মুবারক তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ব্যাগটি তৈরি করেছেন৷ পলিথিন পোড়ালে তা গলে গলে পড়ে৷ কিন্তু সোনালী ব্যাগ পোড়ে কাগজের মতো৷

শুকনো পাট বা এর ক্যাডিজ থেকেই মূলত পলিথিনের মতো দেখতে এই ব্যাগ তৈরি করা হয়৷ কাসাভা নামের শস্য থেকে কিংবা আখের ছোবড়া থেকে এ ধরনের ব্যাগ আগে তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু মুবারকের দাবি, তাঁর ব্যাগই কেবল শতভাগ প্রাকৃতিক৷

প্রাথমিকভাবে এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো, এই ব্যাগ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির নকশা ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের খরচ৷ বাংলাদেশ সরকার এতে বিদেশি বিনিয়োগ আশা করছেন বলে জানান মুবারক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য