1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোনিয়া গান্ধীর কল্পিত জীবনী নিয়ে বিতর্কের ঝড়

৪ জুন ২০১০

স্প্যানিশ লেখক জাভিয়ার মোরোর লেখা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কল্পিত জীবন কাহিনী নিয়ে দলটির রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমত ঝড়৷ বিতর্ক ক্রমশই আইনি লড়াই-এ মোড় নিতে চলেছে৷ আর লেখকও পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেবার হুমকি দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Ni9G
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীছবি: UNI

যে বই নিয়ে এই বিতর্ক, তার নাম ‘লাল শাড়ি'৷ সোনিয়া গান্ধী বিয়ের দিনের শাড়ির রঙ৷ লেখক স্পেনের জাভিয়ার মোরো৷ লেখকের মতে, বইটি সোনিয়া গান্ধীর এক কল্পিত জীবনী৷ ২০০৮ সালে বইটি প্রকাশিত হবার পর স্পেন, ডেনমার্ক ও ইটালিতে তিন লাখ কপি বিক্রি হয়৷ এই বিতর্ক সত্বেও বইটির ইংরাজি সংস্করণ তিন চার মাসের মধ্যেই ভারতে প্রকাশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রোলি বুকস প্রকাশনা সংস্থা৷

কংগ্রেস পার্টি এজন্য ছেড়ে কথা বলবেনা লেখক ও প্রকাশককে৷ কংগ্রেসের পক্ষে অভিষেক মনু সিংভি উকিলের চিঠি দিয়ে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেবার জন্য মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷ চিঠিতে লেখকের উক্তি খণ্ডন করে বলা হয়েছে, জীবনী কখনও কাল্পনিক হয় না৷ অপর দিকে, লেখকের বক্তব্য, মূলতঃ কাল্পনিক হলেও তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয় গবেষণা করেই৷ তাই তিনিও পাল্টা আইনি নোটিশ দেবেন বলে জানা গেছে৷

Sonia Gandhi
সোনিয়া গান্ধীর কল্পিত জীবন নিয়ে লেখা বিতর্কিত ঐ বইটির নাম ‘লাল শাড়ি’ছবি: AP

কংগ্রেস মুখপাত্র ও সোনিয়া গান্ধীর আইনজীবি মনু সিংভি বই'টির থেকে একটি অংশ বিশেষ উল্লেখ করেন৷ যেখানে বলা হয়েছে, স্বামী রাজীব গান্ধীর হত্যার পর তাঁর অন্তেষ্টিক্রিয়ায় সোনিয়া গান্ধীকে থাকার অনুমতি দেননি হিন্দু পুরোহিত৷ এটা একেবারেই বানানো৷ দ্বিতীয় উদাহরণ, রাজীব গান্ধীর হত্যার পর সোনিয়া গান্ধী ছেলেমেয়েকে ফেলে ভারত ছেড়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তাঁর স্বদেশ ইটালিতে৷ এটাও জলজ্যান্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন৷ লেখকের হাতে এর কোন প্রমাণ নেই৷ বিনা অনুমোদনে এই ধরনের মনগড়া কথা লেখা বে-আইনি৷ উল্লেখ্য, প্রকাশ ঝা পরিচালিত হিন্দী ছবি ‘রাজনীতি'তে সোনিয়া গান্ধীর আদলে নায়িকার চরিত্রটি অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ তাতেও উষ্মা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস৷ আর বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ এ বিষয়ে দলের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেবার আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ