সৌদি আরবের কাছে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করবে রাশিয়া
২৯ আগস্ট ২০০৯রুশ বার্তা সংস্থা ইতারফ্যাক্সের সংবাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে এই তথ্য৷ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, আসন্ন এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরব প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বা এক দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র কিনবে৷
প্রায় পাকা হয়ে যাওয়া এই চুক্তির আগে বিষয়টি সম্পর্কে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচককে সূত্র হিসাবে উল্লেখ করে খবরে জানানো হয়েছে, সৌদী আরব সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহারের জন্য দেড়শটি হেলিকপ্টার, এর মধ্যে আছে ৩০টি এম আই থার্টি ফাইভ এটার্ক হেলিকপ্টার এবং ১২০টি এমআই সেভেনটিন হেলিকপ্টার, এ ছাড়া শতাধিক ট্যাংক ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনবে৷ এই চুক্তিটি চুড়ান্ত হলেই সৌদি আরব হবে রাশিয়ার অন্যতম বড় অস্ত্র ক্রেতা দেশ৷
ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় চুক্তির কারিগরি এবং আর্থিক বিষয়াদী সম্পন্ন হয়েছে৷ এ বছরের যে কোন সময় চুক্তিটি সই হবে৷
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের সামরিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই রাশিয়ার তৈরি ট্যাংক পরীক্ষা চালিয়েছেন৷ বিশেষ করে তারা দেখেছেন ট্যাংক মরুভূমিতে যুদ্ধ করার উপযোগী কি না৷ রুশ কর্মকর্তারা জানান, সৌদি আরব এই সব অস্ত্রের উপযোগিতা দেখে বেজায় খুশি হয়েছে৷
এই তো এ বছরের শুরুতেই রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছিলেন, সোভিয়েত আমলের পর গত বছর রাশিয়া অস্ত্র বিক্রিতে রেকর্ড করেছে৷ ২০০৮ সালে রাশিয়া ৮ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে৷ ২০০৭ সালের চেয়ে এই অংক ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশী৷ তবে পিছিয়ে নেই যুক্তরাষ্ট্রও৷ আগামী এক দশকে সৌদি আরব এবং তার প্রতিবেশি দেশগুলোর কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷
সৌদি আরব বর্তমানে পশ্চিম ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই অস্ত্র কিনছে৷ এই প্রথমবারের মত তারা রাশিয়ার শরনাপন্ন হলো৷ অবশ্য এই অস্ত্র কেনা-বেচা বিষয়ক আলোচনাটি শুরু হয় ২০০৭ সালে৷ এরপর ভ্লাদিমির পুতিন ২০০৮ সালে তখনকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে রিয়াদ সফরে গেলে দুই দেশ সই করে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি৷ তবে রুশ পত্র পত্রিকাগুলো বলছে, সৌদি আরব নাকি এই অস্ত্র কেনার শর্ত হিসাবে রাশিয়াকে বলেছে ইরানকে সহায়তা না করার জন্য৷ তবে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম