সৌদিতে হজের নিরাপত্তায় নারীরা
২২ জুলাই ২০২১কার্যত নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটে গেছে এবারের হজে। সৌদি আরবের হজে এবার নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন নারীরা। এই প্রথম হজে নারীরা এই কাজে সামিল হলেন।
গত এপ্রিল মাস থেকে হজের নিরাপত্তার জন্য নারীদের এই দল তৈরি করা হয়েছে। সৌদি আরবের সেনার তত্ত্বাবধানে তৈরি দলে বহু নারী যোগ দিয়েছেন। মোনা তাদেরই মধ্যে একজন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, তার বাবাও সেনা বাহিনীতে ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনিও ঠিক করেন সেনা বাহিনীতে যোগ দেবেন। শেষপর্যন্ত তার স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে।
উপরে খাঁকি জ্যাকেট, নীচে ঢোলা প্যান্ট, মাথায় সেনার টুপি, তার নীচ দিয়ে হিজাব এবং মুখে মাস্ক-- নারী নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য এমনই পোশাক তৈরি করা হয়েছে। হজের সময় মক্কা এবং মদিনা দুই জায়গাতেই এই নারী নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করেছেন। সৌদি সরকার তাদের কাজের প্রশংসাও করেছে।
সৌদি রাজপরিবার বেশ কয়েকবছর আগেই দেশের সামাজিক উন্নয়ন এবং সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে সে কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই সংস্কারের অন্যতম বিষয় ছিল নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া। বহুকাল পর্যন্ত সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল। এখন আর সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। হজে নারী নিরাপত্তারক্ষীদের নেয়ার বিষয়টিও ওই সংস্কারের অংশ বলে জানানো হয়েছে। তবে সৌদি আরবের নারী অধিকার সংগঠনগুলির দাবি, একদিকে সংস্কারের কথা বললেও অন্যদিকে নারী অধিকার কর্মীদের উপর জুলুমও চালানো হচ্ছে সেখানে।
এবারের হজে কেবলমাত্র দেশের ভিতরের মানুষদেরই আসার অনুমতি দিয়েছিল সৌদি প্রশাসন। বিদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। গত বছরও একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে দেশের মানুষ যথেষ্ট পরিমাণেই গিয়েছিলেন মক্কা এবং মদিনায়। এই প্রথম সেখানে তারা নারী নিরাপত্তারক্ষীদের দেখলেন।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)