সৌরজগতে নতুন এক গ্রহ
২৩ জানুয়ারি ২০১৬গণিত শাস্ত্র ও কমপিউটার সৃষ্ট মডেল থেকে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন ক্যালিফর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা ক্যালটেক-এর দুই বিজ্ঞানী কনস্টান্টিন ব্যাটিগিন ও মাইক ব্রাউন৷ তারা নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহের নাম দিয়েছেন ‘প্ল্যানেট নাইন'৷ এর ‘মাস' বা বস্তুপিণ্ড পৃথিবীর প্রায় দশগুণ ও সূর্য থেকে তা এতটাই দূরে যে, সূর্য প্রদক্ষিণ করতে তার দশ থেকে ২০ হাজার বছর সময় লেগে যায়৷
ব্যাটিগিন আর ব্রাউন দেখিয়েছেন, সৌরজগতের তথাকথিত কয়পার বেল্ট এলাকার কিছু রহস্যজনক খুঁটিনাটি – যেমন নেপচুন গ্রহের পরে যে সব হিমায়িত বস্তু ও ধ্বংসাবশেষ আছে, তাদের কক্ষপথ ব্যাখ্যা করার একটি পন্থা হতে পারে এই প্ল্যানেট নাইন৷ ‘অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নাল'-এর সর্বাধুনিক ইস্যুতে সেই কথাই বলেছেন ব্যাটিগিন ও ব্রাউন, নীচের টুইটটা দেখলেই যা বোঝা যায়৷
ক্যালটেক-এর ওয়েবসাইটে ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে: ‘বিজ্ঞানীদের বহুদিনের ধারণা যে, সৌরজগৎ সূচনায় চারটি নির্মীয়মান গ্রহকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল৷ এই চারটি গ্রহের বীজ চারপাশের সব গ্যাসকে টেনে নিয়ে শেষমেষ চারটি গ্যাসের গ্রহ সৃষ্টি করে, যেগুলি হলো বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন৷ প্ল্যানেট নাইন তাদের মধ্যে পঞ্চম হয়ে থাকতে পারে৷ হয়ত বৃহস্পতি বা শনির বড় কাছাকাছি এসে পড়ার ফলে তাকে তার দূর কক্ষপথে নির্বাসিত হতে হয়৷'
প্ল্যানেট নাইন যদি আজ তার কক্ষপথের দূরতম প্রান্তে থাকে, সেক্ষেত্রেও অন্তত দু'টি টেলিস্কোপ, ডাব্লিউ এম কেক অবজারভেটরি আর হাওয়াই-এর মানুয়া কিয়াতে সুবারু টেলিস্কোপ তাকে খুঁজে বার করার ক্ষমতা রাখে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ আর কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই, বহু টেলিস্কোপে প্ল্যানেট নাইন ধরা পড়বে – বলে মাইক ব্রাউন মন্তব্য করেছেন৷
ব্যাটিগিন বলেছেন, প্ল্যানেট নাইন যে পৃথিবীর মতো একটা নিতান্ত সাধারণ গ্রহ, তা-তেই তিনি খুশি৷ অন্যদিকে ব্রাউন প্লুটোকে গ্রহ থেকে বামন গ্রহের পর্যায়ে নামিয়ে এনে নাম করেছেন – টুইটারে তিনি নিজের নাম দিয়েছেন ‘‘প্লুটো-কিলার'' বা প্লুটো হন্তারক৷ কাজেই তিনি টুইট করেছেন: ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি এখন স্বীকার করতে রাজি৷ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে সৌরজগতে ন'টি গ্রহ আছে৷'
প্ল্যানেট নাইন-কে ধরে!
এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)