স্কাইপ ব্যবহারের সুযোগ কমে যাচ্ছে চীনে
২০ জানুয়ারি ২০১১এ বছরের শুরুতে চীনা সরকার জানায় যে, স্কাইপের ব্যবহার সীমিত করা হবে৷ অবশ্য কীভাবে তা হবে - তা এখনও জানানো হয়নি৷ জানানো হয়নি তার কারণও৷ তবে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে – যে বা যারা অবৈধভাবে স্কাইপের সেবা প্রদান করছে, তাদের আটকাতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন গুগলের পর এবার কি তাহলে স্কাইপই মূল লক্ষ্য? ঝাং ইয়ুফান নিয়মিত স্কাইপ ব্যবহার করেন আর ইন্টারনেট ছাড়া তো চলতেই পারেন না৷ তিনি বললেন, ‘‘আমার পরিচত যারা বিদেশে থাকে বা কাজ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল ইন্টারনেট এবং স্কাইপ৷ আর যে সব বাবা-মায়েরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে পাঠিয়েছেন পড়াশোনার জন্য, তাদের বেলায়তেও ঐ একই কথা খাটে৷ আমি যখন স্কাইপ ব্যবহার শুরু করি, তখন আমার বান্ধবী অন্য একটি দেশে ছিল৷ প্রতিদিন অন্তত দু'ঘন্টা আমরা স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলতাম৷ এখন যদি স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে আমাকে অন্য একটা পথ খুঁজতে হবে যোগাযোগের জন্য৷ আমার প্রয়োজন একটি প্রক্সি সার্ভারের৷ সেটা যে কোন দেশে হলেই হবে৷ তবে সেটা কাজ না করলে সত্যিই বন্ধ হয়ে যাবে যোগাযোগ৷''
ইন্টারনেট এবং স্কাইপ ছাড়া টেলিফোনে নিয়মিত বিদেশে কথা বলেন প্রায় দুই কোটি চীনা৷ তবে তা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ৷ চীন থেকে অ্যামেরিকায় কথা বলতে প্রতি মিনিটে খরচ পড়ে ৮০ সেন্ট৷ অথচ স্কাইপের সাহায্যে কথা বলতে লাগে মাত্র দুই সেন্ট৷ আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের মাত্র চারটি বড় শহরে স্কাইপ, গুগল, এমএসএন-এর সেবা প্রদান করা হচ্ছে৷ এই সেবা প্রদান করে যাচ্ছে কয়েকশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান৷
অনেকই মনে করছেন চাইলেও চীনা সরকার স্কাইপের ব্যবহার বন্ধ করতে পারবে না৷ একটি সংস্থা বন্ধ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরো দশটি সংস্থা এই সেবা প্রদান শুরু করবে৷ আর এভাবেই স্কাইপ টিকে থাকবে চীনে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ