স্কুলে সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র, পাঁচ বছরের সাজা জার্মান কিশোরীর
২৫ নভেম্বর ২০০৯পাঁচ বছরের জন্য অপ্রাপ্তবয়স্কদের কারাগার বা সংশোধনাগারে থাকতে হবে ১৬ বছরের জার্মান কিশোরীটিকে৷ ওই কিশোরী যেহেতু অপ্রাপ্তবয়স্ক অতএব তার নাম প্রকাশ করা হয়নি৷ তার বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্ধ দরজার ওপারে৷ সাজায় বলা হয়েছে, স্কুলের মধ্যে বিস্ফোরক তৈরি করার চেষ্টা, সহপাঠীদের আঘাত এবং হত্যা করার চেষ্টা ইত্যাদি মারাত্মক সব অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ তার সাজা আপাতত পাঁচ বছরের জন্য অপ্রাপ্তবয়স্কদের কারাগার বা সংশোধনাগারে বসবাস করার৷
এই মে মাসের এগারো তারিখের ঘটনা৷ বন শহর সংলগ্ন জাঙ্কট আগুস্তটিনের একটি সেকেন্ডারি স্কুলের বাথরুমের মধ্যে মলোটভ ককটেল বিস্ফোরক আর একটি ছোট তলোয়ার নিয়ে হাজির হয় ওই কিশোরী৷ বাথরুমের ভিতরে সে যখন বিস্ফোরণের ফাঁদ পাতছে তখন আর এক ছাত্রের সেসব নজরে আসে৷ ওই ছাত্রটি তাকে বাধা দিতে গেলে তাকে তলোয়ার দিয়ে আহত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কিশোরী মেয়েটি৷ এরপর স্কুলের দখল নেয় স্পেশ্যাল কমান্ডোবাহিনী৷ ৮০০ ছাত্রছাত্রীর অবশ্যি কোনরকম বিপদ আপদ হয়নি৷ সেদিন সন্ধ্যাবেলাতেই ওই কিশোরী কোলন শহরের প্রধান স্টেশন বা হফটবানহফে পুলিশের কাছে নিজেই ধরা দেয়৷
জার্মানির স্কুলে এ বছরের গোড়াতেই যথেষ্ট বিভীষিকা দেখেছে বিশ্ব৷ ১৭ বছরের এক তরুণ ভিনেনডেন-এর একটি স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে নয় ছাত্রী আর তিন শিক্ষককে হত্যা করেছিল সেদিন৷ কিছু পরে টিম কে নামের ওই তরুণ নিজেও আত্মহত্যা করে৷ তারপর থেকেই এই ধরণের পরিস্থিতি বেশ আতঙ্কের মধ্যে রাখছে মানুষকে৷ এ বছরের মার্চ মাসে ঘটেছিল ভিনেনডেনের সেই ভয়াবহ ঘটনা৷ ঘটনার বীভত্সতা গোটা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছিল নিঃসন্দেহে৷
প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা- হোসাইন আব্দুল হাই