স্টুটগার্টে পুলিশের ওপর হামলা: ম্যার্কেলের তীব্র নিন্দা
২২ জুন ২০২০জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷
স্টুটগার্ট পুলিশের ডেপুটি প্রধান টমাস বেরগার জানান, মাদক ব্যবহার করার সন্দেহে পুলিশ ১৭ বছর বয়সি এক তরুণের তল্লাশি নিতে চাইলে ঘটনার সূত্রপাত হয়৷ এরপরই শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকা শ্লসপ্লাৎজে তরুণদের ভিড় জমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে তারা৷ এইসময় পুলিশের দিকে বোতলও ছোড়া হয়৷
সেখান থেকেই ঘটনা বাড়তে বাড়তে প্রবল ভাঙচুরের আকার ধারণ করলে ১৯ পুলিশকর্মী আহত হন৷ গ্রেপ্তার করা হয় ২৪ জনকে৷ ঘটনার তুঙ্গে প্রায় ৫০০ জন মিলে পুলিশকর্মীদের প্রতি তাদের ক্ষোভ দেখাতে পথে নামেন৷
এবিষয়ে সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট বলেন, ‘‘যারাই এই কাজ করেছে, তারা আসলে স্টুটগার্ট শহরের বিপক্ষে কাজ করেছে৷ তারা যাদের সাথে বসবাস করেন, যারা তাদের সুরক্ষা দেন, তাদের ওপরেই এই আক্রমণ৷''
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার এই সংঘর্ষকে আইনশৃঙ্খলার জন্য চিন্তার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আক্রমণ ও অপমান ছাড়াও এটা চরম অপমানজনক আচরণ, যা শারীরিক আঘাতের মতোই বেদনাদায়ক৷'' প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারেরও একই মত৷
বাড়ছে পুলিশের প্রতি বিদ্বেষ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি আলোচিত একটি ঘটনার পর থেকে জার্মানিতেও আলোচিত হতে শুরু করেছে পুলিশি সহিংসতা ও তাদের কাজকর্মে বর্ণবৈষম্যের প্রতিফলন৷ কিছু দিন আগে স্টুটগার্টের একটি বহুতল ভবনে কোয়ারান্টিন বিষয়ক বিধিনিষেধ আরোপ করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ জনের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী৷
পুলিশকর্মীদের সাথে জরুরি পরিষেবায় কর্মরত অন্যান্য কর্মীরাও মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা বিরূপ মনোভাবের কথা জানাচ্ছেন৷
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার বলেন, ‘‘যারাই পুলিশের ওপর আক্রমণ করবে, পুলিশকর্মীদের প্রতি , তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে লড়তে হবে৷''
এসএস/জেডএইচ (এএফপি)