স্তব্ধ বাংলাদেশ, আক্রান্ত বেড়ে ৪৪
২৬ মার্চ ২০২০জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ব্যাংকের কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে। জনগণের চলাচল রোধে দেশে সব ধরনের গণপরিবহন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা সড়কে টহল দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ‘অহেতুক' লোকজনের রাস্তায় চলাচল বন্ধে তারা তৎপর।
গণস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাজার এবং নানা শপিংমলও ক্রেতার অভাবে কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কাজ না থাকায় শ্রমজীবী মানুষও বাধ্য হয়ে ঘরের ভেতরে রয়েছেন। দেশের জনগণ ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছেন এবং অঘোষিত এই ‘লকডাউন’ মেনে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশে নতুন করে আরো পাঁচজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর দিয়েছে আইইডিসিআর। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৪৪ জন। এদিন আক্রান্ত আরো চার জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথাও জানানো হয়। নেই নতুন মৃত্যু। মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ জন, এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ জন।
অনলাইনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, "নতুন আক্রান্ত পাঁচজনের একজন বিদেশ থেকে এসেছেন। তিনজন আগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। আর একজন কীভাবে সংক্রমিত হয়েছেন সেটা আমরা বোঝার চেষ্টা করছি।”
নতুন রোগীদের সবাই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুইজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। আর একজন ষাটোর্ধ্ব বলে জানান ডা. মীরজাদী। তাদের সবার সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু, তবে একজনের দীর্ঘমেয়াদী রোগের ইতিহাস আছে।
দেশের বাইরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতের মৃত্যু হয়েছে।
গাম্বিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক বাংলাদেশি ইমাম মারা গেছেন। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। দৈনিক প্রথম আলোর তথ্যানুযায়ী ২১ মার্চ পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে আটজন বাংলাদেশি করোনা সংক্রমণে মৃত্যু বরণ করেছেন।
এছাড়া যুক্তরাজ্যে দুই জন এবং ইতালির মিলানে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ৮ বাংলাদেশির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
এসএনএল/এসিবি