স্পেনে মাস্ক-বিরোধী বিক্ষোভ
১৭ আগস্ট ২০২০বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার প্রতিবাদে পথে নামলেন মাদ্রিদের মানুষ। রোববার তাঁরা মাদ্রিদের সিটি সেন্টারে সমবেত হয়ে এই প্রতিবাদ জানান। লোকেদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। মুখে স্লোগান। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের অনেকেই অবশ্য মাস্ক পরেছিলেন। কিছু মানুষ মাস্ক পরেননি।
গত মে মাসে প্রথম মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। যাঁরা সরকারি যানবাহনে চড়বেন, তাঁদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল। প্রথমে মাদ্রিদে চালু হলেও পরে তা সারা দেশের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়।
দুই দিন আগে করোনা সামলাতে আবার একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তার মধ্যে রাস্তা বা জনস্থানে ধূমপানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত জুনে স্পেনে তিনমাস পর লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। সেখানে করোনায় মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬০০ জন। তারপর আবার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই সরকার নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপরই প্রতিবাদ হলো।
স্পেনে ডিস্কো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ ও বার রাত একটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। বারোটার পর সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না। সব এলাকার জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। বৃদ্ধাবাসেও বেশি লোক যেতে পারবেন না।
ইটালিও সোমবার থেকে ডিস্কো ও ক্লাব বন্ধ করে দিচ্ছে। পাব ও বারে বা তার আশেপাশে যাঁরা যাবেন, তাঁদের মাস্ক পরতেই হবে।
ফ্রান্সেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা আর কোনোভাবেই লকডাউন জারি করতে চান না। ফ্রান্সে গরমের ছুটিতে লোকেরা দেশজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানে মিলিত হচ্ছেন। তাই করোনার প্রকোপ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্রান্সে দুই সপ্তাহ পরে স্কুল খোলার কথা।
জার্মানির বাভারিয়াতে করোনা ছড়িয়েছে বিদেশ থেকে আসা লোকেদের মাধ্যমে। বিদেশ থেকে ৪৪ হাজার পর্যটক এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। জার্মানিতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)