স্পেস স্টেশনে নির্বিঘ্নে হাজির বুড়ো জাহাজ ডিসকভারি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১শেষবার মহাশূন্যে উড়ে যাওয়ার আগে বড্ডো ঝামেলা করেছিল ডিসকভারি৷ প্রচুর গাঁইগুঁই৷ একবার তার জ্বালানি ট্যাঙ্কে ফুটো বেরোয় তো পরক্ষণেই চাপমান যন্ত্রে দেখা যায় গোলযোগ৷ কখনও বা অন্য কোন সমস্যা৷ বারবার আটত্রিশবার মহাশূন্যের পথিক এই বুড়ো জাহাজ আর কিছুতেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে যেতে চাইছিল না বোধহয়৷
কিন্তু, যাওয়ার ছিলই৷ তাই একখানা দারুণ উন্নত, প্রায় মানুষেরই মত হিউম্যানয়েড রোবট পেটে নিয়ে, সেইসঙ্গে মহাশূন্যের স্পেস স্টেশনের জন্য নতুন ঝাঁ চকচকে একখানা অতিরিক্ত স্টোর রুম সঙ্গে নিয়ে ডিসকভারি শেষ পর্যন্ত যাত্রা করেছিল গত পরশু, শুক্রবার৷ তারপর সে ঠিকঠাকই মহাশূন্যের স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গেছে৷ জিনিসপত্রও নামিয়ে টামিয়ে এখন মহাকাশেই একটু জিরিয়ে নিচ্ছে বেচারা বুড়ো জাহাজ ডিসকভারি৷
জিরিয়ে নিচ্ছে ফিরে আসার জন্য৷ আর ফিরে আসার জন্য এতদিনের মহাকাশযান ডিসকভারি উদগ্রীবও কম নয়৷ কারণ, এই তার শেষবার নিজের ঘরে, মানে পৃথিবীতে ফেরা৷ এরপরেই বিশ্ববিখ্যাত ডিসকভারির অবসর৷ তার জন্য জাদুঘর তৈরি রয়েছে৷ সেখানেই সে এরপর থেকে বাস করবে৷ কাটাবে অবসর জীবন৷ বাচ্চাকাচ্চাদের জানাবে তার তেরোবার মহাকাশ ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা৷
সে অভিজ্ঞতাও নিশ্চয়ই চমৎকারই হবে! ডিসকভারিকে অবসর দেওয়ার কথা নাসা আগেই ঘোষণা করেছিল৷ শোনা যাচ্ছে, এনডেভর আর আটলান্টিস নামের অন্য দুই মহাকাশযানকেও নাকি নাসা অবসরে পাঠাবে৷ তবে এখনই নয়৷ তাদের আরও কয়েকটা করে যাত্রা বাকি আছে৷ কিন্তু ডিসকভারির ছুটির ঘন্টা বেজে গেছে৷ এখন সে ভালোয় ভালোয় এই গ্রহে ফিরলেই সবদিকের মঙ্গল৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী