স্পেসএক্সের রকেটে মহাকাশ পর্যটনে চারজন
ইতিহাস তৈরি হলো। মহাকাশ পর্যটনের। চারজন অসামরিক মানুষকে নিয়ে স্পেসএক্সের রকেট উড়ে গেল মহাকাশে।
এই প্রথম
অ্যামেচার বা অপেশাদাররা এর আগেও মহাকাশে গেছেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে থেকেছেন প্রশিক্ষিত নভোচারী। এভাবে চার অপেশাদারের মহাকাশ পর্যটন এই প্রথম।
কারা গেলেন
শিফটফোর পেমেন্টের মালিক ৩৮ বছর বয়সি হাই স্কুল ড্রপআউট জ্যারেড আইস্যাকম্যান পুরো ট্রিপ স্পনসর করছেন। সঙ্গে আছেন পেশায় নার্স হেইলি আর্সেনাও, বাচ্চা থাকার সময় যিনি বোন ক্যান্সারকে জয় করেছেন। তিনিই মহাকাশে যাওয়া সব চেয়ে কম বয়সি অ্যামেরিকান। এছাড়া আছেন এয়ারোস্পেস ডেটা ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস সিমব্রস্কি ও ভূবিজ্ঞানী সিয়ান প্রোক্টর।
ইনস্পিরেশন ৪
এই মহাকাশ অভিযানের নাম ইনস্পিরেশন ৪। কারণ, চারজনের এই মহাকাশ অভিযান ভবিষ্যতে অন্যদের প্রেরণা দেবে।
যাত্রা শুরু
চারজন স্পেসএক্স ড্রাগনে বসলেন। যাত্রা শুরু হলো। ১২ মিনিট পরে ফ্যালকন ৯ রকেটের দ্বিতীয় পর্যায় চালু হলো। স্পেসএক্স জানালো, চারজন এখন মহাকাশে পৌঁছে গেছেন।
নাসার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে
ফ্লোরিডায় নাসার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে স্পেসএক্সের রকেটের যাত্রা শুরু হলো। এখান থেকেই চাঁদে যাত্রা করেছিল অ্যাপলো ১১।
ফ্লোরিডাতেই ফেরা
মহাকাশ যাত্রা শেষ করে ফ্লোরিডাতেই ফিরবেন চারজন। ফেরার সময় প্যারাশুট খুলে গতি কমানো হবে মহাকাশযানের।
নতুন দিগন্ত
স্পেস এক্সের এই মহাকাশ অভিযানে নতুন দিগন্ত খুলে গেল। সাধারণ মানুষ মহাকাশ অভিযান করতে পারলেন এবং ভবিষ্যতেও পারবেন। এই অভিযান দেখিয়ে দিল, মহাকাশ অভিযানের জন্য পেশাদার নভোচর হওয়ার দরকার নেই। ছবিতে দেখানো হয়েছে, যেভাবে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে মহাকাশযান।
স্পেস এক্সের দাবি
এই মহাকাশ অভিযানের পর স্পেস এক্সের দাবি, মানবিকতার নতুন দিগন্ত খুলে গেল।