1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে বিতর্ক ভারতে

২ মার্চ ২০১১

৩৭ বছর ধরে কোমায় থাকা অরণা শানবাগকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, শীর্ষ আদালত আজ তাঁর রায়দান স্থগিত রাখেন৷ সরকার বলেছে, বর্তমান অবস্থাতেও অরুণার বাঁচার অধিকার কেড়ে নেয়া যায়না৷

https://p.dw.com/p/10SLf
ছবি: Wikipedia/LegalEagle

সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চ আজ অরুণা শানবাগের স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদনের ওপর রায়দান স্থগিত রেখেছেন৷ আবেদন করেছিলেন ৬৩ বছর বয়সি অরুণার শুভাকাঙ্খী এক সাংবাদিক পিঙ্কি ভিরানি৷ তাঁর যুক্তি ডাক্তারা যেহেতু অরুণার সেরে ওঠার আশা ছেড়ে দিয়েছেন, তাই জড়পিন্ড অবস্থায় তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা জীবনের প্রতি অমর্যাদা৷ অরুণার ফুড পাইপ খুলে নেয়া হোক৷

ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল এর বিরোধিতা করে বলেছেন, এই অবস্থাতেও কারোর বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়া যায়না৷ ঐ হাসপাতালের ডাক্তার সঞ্জয় ওক বলেন, অরুণা নিজে না জানালে আমরা সেটা ঠিক করতে পারিনা৷ সসম্মানে মৃত্যুর অধিকার নামে এক এনজিও সদস্য রবীন্দ্র ডেলিয়া মনে করেন, স্বেচ্ছামৃত্যু মানে জীবন নেয়া নয়, জীবন্মৃত অবস্থা থেকে সসম্মানে মুক্তি৷ ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যু বেআইনি যেহেতু এর সঙ্গে জড়িত নৈতিকতার প্রশ্ন৷ বিতর্কটা সেখানেই৷ ভারতের সুশীল সমাজও এবিষয়ে একমত হতে পারেনি৷ যদিও ইওরোপের কিছু কিছু দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু স্বীকৃত৷

কে এই অরুণা ? কেন তাঁর এই করুণ পরিণতি ? ২৫ বছরের অরুণা মুম্বাই-এর কে ইএম হাসপাতালের নার্স ছিলেন যে হাসপাতালে আজ তিনি শয্যাশায়ী৷ ঐ হাসপাতালের একজন ওয়ার্ডবয় কুকুরের গলার বেল্ট দিয়ে অরুণার গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে৷ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অরুণার মস্তিষ্কে অক্সিজেন যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়৷ সে কোমায় চলে যায়৷ ৩৭ বছর ধরে সে এই অবস্থায় আছে৷ কথা বলতে পারেনা, দেখতে পারেনা৷ স্থবির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং ইন্দ্রিয় নিয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বিছানায় ৩৭ বছর৷

প্রথম দিকে তাকে মুখ দিয়ে খাওয়ানো হতো, পরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হবার পর অরুণার মুখ দিয়ে খাবার ক্ষমতা হারিয়ে যায়৷ এখন তাঁ কে খাওয়ানো হয় নল দিয়ে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়,নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক