‘স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত'
২৭ জানুয়ারি ২০২৩এ বিষয়ে রাজনীতি বিশ্লেষক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কোন সরকারের মাঝে যখন স্বৈরাচারী মনোভাব যখন প্রকট হয়ে যায়, তখনই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আসে৷''
তিনি মনে করেন, তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার বোকামির পরিচয় দিয়েছে৷ ‘‘যিনি দিয়েছেন তিনি রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক নয়,'' বলেন তিনি৷ ‘‘ব্যান যদি না করত, তাহলে এত বিতর্ক হত না৷ বিদেশমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হত না,'' যোগ করেন রন্তিদেব৷
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক দীপ্তেন্দ্র রায় চৌধুরী৷ তিনিও মনে করেন, সরকার এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করে ‘মূর্খতার' পরিচয় দিয়েছে৷
২০০২ সালে গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়৷ সে সময় এক থেকে দুই হাজার মানুষ মারা যান, যেখানে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তথ্যচিত্রে দাঙ্গার সময় পুলিশের নিরব ভূমিকার জন্য মোদীকে দায়ী করা হয়৷
দীপেন্দ্র বলেন, ভারতে সবসময়ই দাঙ্গা হয়েছে৷ দাঙ্গার সময় পুলিশের ভূমিকাও সবসময় এমন ছিল৷
‘‘২০০২ সালে ১৯৬৯ সালের মতোই দাঙ্গার হয়েছিল৷ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে৷ এটা ভারতবর্ষে অনেকবারই ঘটেছে,'' বলেন তিনি৷
রন্তিদেব বলেন, ‘‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ীর সংশয় হয়েছিল যে, গুজরাটে রাজধর্ম পালিত হয়নি৷''
ভারতের মুসলিমরা কতটা নিরাপদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে দুই অতিথি বলেন, সাধারণ মানুষ বিভক্তি চায় না৷ রাজনৈতিক ও নানা সুবিধা নিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী এই দাঙ্গা বাধান৷ তারা ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ তৈরি করেন৷
‘‘অনেক ক্ষেত্রেই মুসলমানরা আগে হামলা করেন৷ তারপর হিন্দুরা ফের আক্রমণ করেন৷ এতে যারা মারা যান তার ৯০ ভাগই মুসলমান৷ পেছন থেকে দুই পক্ষকেই এভাবে লেলিয়ে দেয় স্বার্থান্বেষী মহল,''বলেন দীপ্তেন্দ্র৷
ভারত হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দীপেন্দ্র বলেন, ভারত অনেক আগে থেকেই হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র৷ আর রন্তিদেব বলেন, ‘‘ভারতে গণতন্ত্র খুব গভীর৷ এত সহজে এই রাষ্ট্র হিন্দুত্ববাদী হবে না৷''
জেডএ/এআই