স্মার্টওয়াচ কি পরবর্তী চমক?
২৭ মার্চ ২০১৩স্মার্টওয়াচের কাজ শুধু সময় প্রদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এর কর্মকাণ্ড পিডিএ-র (ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহযোগী) সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ গত দশকের শুরুর দিকে যেগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল৷ তবে স্মার্টওয়াচে পিডিএ-র সকল সুবিধা ছাড়াও থাকছে ক্যামেরা, ম্যামোরি কার্ড এবং ওয়াইফাই সুবিধা৷
উপরের ছবিতে প্রদর্শিত পাবল ই-পেপার ওয়াচটি গত বছর বাজারে আসে৷ এটি একটি ‘ক্রাউডফান্ডেড' প্রকল্প৷ যার অর্থ হচ্ছে, এই ঘড়ি তৈরির প্রকল্পটিতে অর্থ সহায়তা করেছেন সাধারণ মানুষ৷ তারা এই প্রকল্পের জন্য দশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি দিয়েছেন৷ একেকটি পাবলের দাম একশো মার্কিন ডলার৷ এটি স্মার্টফোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে পারে৷ শুধু তাই নয়, দশ মিটির দূরত্ব অবধি সেই সম্পর্ক ধরেও রাখতে পারে৷
স্মার্টফোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পর পাবলেই স্মার্টফোনের যাবতীয় ফোন কল, ইমেল, টেক্সট ম্যাসেজ, ফেসবুক ম্যাসেজ, টুইটার ফিড, আবহাওয়ার পূর্বাভাষসহ অনেক কিছু দেখা যায়৷ এটিতে ভাইব্রেশন অ্যালার্টের ব্যবস্থাও রয়েছে৷ সুবিধা হচ্ছে, এটি স্মার্টফোনের মতো বড় নয়৷ ফলে অফিসের মিটিংয়ে বা যেসব আলোচনায় বসে স্মার্টফোনের দিকে নজর রাখাটা অশোভন মনে হয়, সেসব জায়গায় বসেও দিব্যি ইন্টারনেটে নজর রাখা যাবে এই পাবল ব্যবহার করে৷
অবশ্যই, স্মার্টওয়াচ পাবলের মতো ছোট প্রতিষ্ঠানই শুধু বানাবে না৷ সনি ইতোমধ্যে স্মার্টওয়াচ (উপরের ছবিতে প্রদর্শিত) তৈরি করেছে৷ স্যামসাংও এই নিয়ে কাজ করছে৷ আর বাজারে গুজব ক্রমশ বাড়ছে যে, অ্যাপলও শীঘ্রই ‘আইওয়াচ' বাজারে ছাড়বে৷
বলাবাহুল্য, স্মার্টওয়াচগুলো আসলে ১৯৮০ সালে বাজারে আসা ক্যাসিনো ডিজিটাল ওয়াচেরই বর্ধিত সংস্করন৷ তাছাড়া অনেকে হয়ত শুধু স্মার্টফোনের কিছু ফিচার ঘড়িতে পেতে বাড়তি একশো ডলার খরচেও রাজি হবেন না৷ ফলে এ ধরনের ঘড়ি আসলেই বড় চমক হিসেবে দেখা দেবে কিনা, সেটি এখন এক বড় প্রশ্ন৷