1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘স্যাংশন ঠেকাতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার'

২ জুন ২০২৩

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান দাবি করেছেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নয়, সরকার যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে যেন আর নিষেধাজ্ঞা না আসে৷

https://p.dw.com/p/4S8eo
খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়
ছবি: DW

শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় টকশো'-তে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন৷ আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘তারা দেশে অত্যাচার করবে, আর সেখানে লবিস্ট নিয়োগ করবে যেন স্যাংশন না আসে৷''

বিএনপি কখনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি৷

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারের অর্থেই লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে৷ কারণ এটি করা হয়েছে রাষ্ট্রের স্বার্থে, কোন দলের স্বার্থে নয়৷''

‘‘আগে বাংলাদেশ অত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না৷ তাই লবিস্টের প্রয়োজন হয়নি,'' বলেন তিনি৷

অর্থনৈতিক ও ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ায় লবিস্ট নিয়োগ করা এখন প্রয়োজন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মোহাম্মদ এ. আরাফাত৷ তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন দেশই এ কাজ করে৷ তারা জনসংযোগের কাজ করে৷''

মার্কিন ভিসানীতি বিষয়ে আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘এই নীতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনকে সহযোগিতা করবে৷''

‘‘আমাদের আন্দোলন হল সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য৷ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার যে, এই সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না৷ তাই এই নতুন ভিসানীতিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি৷ এর মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন আরো জোরালো হবে,'' যোগ করেন তিনি৷

তিনি দাবি করেন, এই ভিসানীতি সরকারের ভেতর কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে৷

জবাবে আরাফাত বলেন, ‘‘ভিসানীতি নিয়ে কেউই চিন্তিত নয়৷''

তারা শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনকে সমর্থন করছে বলেও দাবি করেন তিনি৷

তাহলে কেন সরকারের পক্ষ থেকে ৩ মে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানার পর নানা রকমের সমালোচনামূলক বক্তব্য এবং এমনকি তাদের কাছ থেকে কিছু কেনা হবে না এমন বক্তব্য দেয়া হল- এ প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, ‘‘এটা কোন প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নয়৷''

‘‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে বা যে স্যাংশন দেবে, তার কাছ থেকে আমি কিছু কিনব না, এ সিদ্ধান্ত আরো তিন মাস আগের,'' বলেন তিনি৷ তবে বাংলাদেশ সরকার মার্কিন বেসরকারি খাত  থেকে কিছু না কেনার এই ঘোষণা বেসরকারি পর্যায়ে বাণিজ্যে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

‘‘আমরা তাদের বার্তা দিতে চেয়েছি,'' বলেন আরাফাত৷

নেতাকর্মীদের ওপর মামলা ও খুন-গুম ও এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একটি সেল গঠন করেছে বিএনপি৷ সেই তথ্য মার্কিনিদের কাছে দেয়া হবে কি না এ প্রসঙ্গে আজম পরিষ্কার উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘‘দেয়া হতে পারে৷ তালিকা কার কাছে দিব সেটা পরে ঠিক করব৷ যখন দেশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না, তখন যারা নেবে তাদের কাছে যতে হবে৷''

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ একটি চিঠি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে৷ সেই চিঠি বিদেশিদের কাছে নালিশ কি না, তা জানতে চাওয়া হলে আরাফাত বলেন, ‘‘এটি নালিশ নয়৷ ২০১৪ সালে বিএনপির যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে, সেটি নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরির সামিল৷ তাই তাদের ক্লিপসহ (বক্তব্যসহ) পাঠিয়েছি৷ আমরা ওয়াচ করছি যে, তারা যে নিরপেক্ষতার কথা বলেছে, তা পালন করছে কি না৷''

জেডএ/এআই