স্লোভাকিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী ও সবচেয়ে কমবয়সি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সুজানা চাপুটভা৷ প্রেসিডেন্ট পদে ঝানু কূটনীতিক মারশ সেফটসোভিচকে পেছনে ফেলেছেন তিনি৷ ২০১৯ সালের জুনে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷
রাজনীতিতে নতুন
পরিবেশবাদী আন্দোলনে পরিচিত মুখ হলেও রাজনীতিতে নতুন সুজানা চাপুটভা৷ তাঁকে মনোনয়ন দেয়া ‘প্রোগেসিভ স্লোভাকিয়া’ দলের কোনো সংসদ সদস্যও নেই পার্লামেন্টে৷ সবচেয়ে কম বয়সে প্রেসিডেন্ট হতে চলা চাপুটভার বয়স ৪৫ বছর৷ তাঁর দুই সন্তান রয়েছে৷
পড়াশোনা
আইন বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে পেজিনক শহরের স্থানীয় সরকারে কাজ শুরু করেন চাপুটভা৷ স্থানীয় সরকারের আইন বিভাগের সহকারী থেকে মেয়রের সহকারী হন তিনি৷
পরিবেশবাদী আন্দোলনে
পেজিনকে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছেন চাপুটভা৷ পরবর্তীতে নিজের আইনি ফার্ম চালানোর পাশাপাশি লেখালেখিও করেছেন৷ পেজিনকে একটি জমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি৷ এর স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৬ সালে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল’ পুরস্কার পেয়েছেন৷
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার
বেশ কয়েক বছর ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন চাপুটভা৷ প্রেসিডেন্ট পদে নিজেকে দুর্নীতি-বিরোধী প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দেন তিনি৷ প্রচারণার সময় তাঁর স্লোগান ছিল: ‘শয়তানের মুখোমুখি দাঁড়ান’৷
সাংবাদিক হত্যার পর প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা
চাপুটভা জানান, অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইয়ান কুতসিয়াক হত্যা তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার অন্যতম কারণ৷ যদিও স্লোভাকিয়ায় প্রেসিডেন্ট অনেকটাই অলংকারিক পদ৷ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাংবাদিক কুতসিয়াক৷
সমকামিতা বৈধ করার প্রতিশ্রুতি
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সমকামিতা বৈধ হলেও স্লোভাকিয়াতে নিষিদ্ধ৷ সেদেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন চাপুটভা৷ একইসঙ্গে গর্ভপাতকেও বৈধতা দেয়ার কথা বলছেন তিনি৷ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই কিসকা তাঁর সম্পর্কে বলেন , ‘‘নৈতিকতার সংকটে আছে স্লোভাকিয়া এবং চাপুটভার মতো একজন প্রেসিডেন্ট এখানে দরকার৷ মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয়া এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট বানালে অন্যান্য দেশ আমাদের ঈর্ষা করবে৷’’