হলিউড তারকারাও যে যুদ্ধে শরিক
হলিউডের তারকা হলেও অনেকের মতো খ্যাতি আর সম্পদের চূড়া তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য নয়৷ তাই পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে সক্রিয় তাঁরা৷ এমন হলিউড তারকাদের নিয়েই এই ছবিঘর...
মার্ক বাফেলো
৫১ বছর বয়সি এই মার্কিন অভিনেতার সর্বশেষ হিট ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার’৷ স্পষ্টবাদী মার্ক-এর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে অবস্থানটাও সব সময় স্পষ্ট৷ নিজেকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার এমন এক ব্যক্তি হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন ‘‘যে সবার জন্য আরো ভালো, আরো উজ্জ্বল, আরো পরিষ্কার এবং আরো আশাপ্রদ ভবিষ্যতের দিকে চোখ রাখে৷’’
এমা থম্পসন
দুইবারের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডজয়ী বৃটিশ অভিনেত্রী এমা থম্পসন সরকারি কর্মচারীদের মাঝে যারা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকে অস্বীকার করেন, তাদের সচেতন করে তোলার চেষ্টা করেন৷
আর্নল্ড শোয়ার্ৎসেনেগার
বিশেষ করে ‘টার্মিনেটর’ ছবির জন্য শোয়া্র্ৎসেনেগারকে সবাই চেনেন৷ বডিবিল্ডার থেকে অভিনেতা হওয়ার পর রাজনীতিতেও সফল হয়েছেন৷ রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরও হয়েছিলেন তিনি৷ একবার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘‘আমি শুধু আশা করি আরো ভালো, আরো পরিস্কার, আরো স্বাস্থ্যসম্মত আরো লাভজনক জ্বালানির ভবিষ্যতের পথে যাত্রায় আমার সঙ্গে আপনিও যোগ দেবেন৷’’ সেই পোস্ট শেয়ার হয়েছিল এক লাখ ২৫ হাজার বার!
ডন চিয়াডল
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে খ্যাতি কম কুড়াননি যুক্তরাষ্ট্রের ডন চিয়াডল৷ সেই খ্যাতি, অর্থাৎ সেলিব্রিটি ইমেজটাকে এখন কাজে লাগাচ্ছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার কাজে৷
জেসিকা অ্যালবা
যুক্তরাষ্ট্রের এই সুন্দরীর বয়স এখন ৩৮৷ ‘হানি’ ছবি দিয়ে প্রথম সাড়া জাগানো এই অভিনেত্রী জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সক্রিয় তারকাদের মধ্যে খুব পরিচিত নাম৷ পরিবেশবান্ধব সামগ্রীর প্রতিষ্ঠান ‘দ্য অনেস্ট কোম্পানি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি৷
রবার্ট রেডফোর্ড
অভিনয় ছেড়েছেন অনেক আগেই৷ তারপরও ‘বুচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড’ ছবিতে পল নিউম্যানের সঙ্গে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য দর্শকমনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন তিনি৷ অনেক বিখ্যাত ছবি ছেড়ে ‘বুচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানড্যান্স কিড’-র নাম বলার একটি কারণ আছে৷ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্যোক্তাও রবার্ট রেডফোর্ড৷ জলবায়ু পরিবর্তন রোধের আন্দোলনে তিনিও এক অগ্রপথিক৷
ইয়ান সমারহ্যালডার
ইয়ান সমারহ্যালডারকে (ওপরের ছবিতে সবার ডানে) না চিনলে ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিজ ছবিটা শুধু দেখুন৷ তারপর নিশ্চয়ই চেঞ্জিং হার্টস, ইন এনিমি হ্যান্ডস, ফিয়ারলেসসহ বাকি ছবিগুলোও দেখতে ইচ্ছে করবে৷ নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার কাজ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখা৷ প্রাণীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়ও সদা সক্রিয় তিনি৷
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটি ছবির কথা বললে নিশ্চয়ই টাইটানিক, দ্য ভিঞ্চি কোড এবং টাচ মি ইফ ইউ ক্যান-এর নাম আসবে৷ অভিনেতা ডিক্যাপ্রিও জলবায় পরিবর্তন রোধে নিজের নামে শুধু ফাউন্ডেশনই খোলেননি, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন নিয়মিত৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ হুমকির কথা তুলে ধরে জাতিসংঘে ভাষণও দিয়েছেন তিনি৷