হাঁটু পানিতে ঈদ জামাত
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। এখন জোয়ার এলেই তলিয়ে যাচ্ছে খুলনার কয়রা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঈদের দিন বাঁধের উপর পানিতে দাঁড়িয়েই নামাজ পড়েছেন স্থানীয়রা।
হাঁটু পানিতে নামাজ
ঈদের দিন সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা গ্রামের অন্তত ছয় হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উপর হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।
তলিয়ে গেছে অধিকাংশ এলাকা
গত ২০ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে কয়রা উপজেলার ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২১টি স্থানে মোট ৪০ কিলোমিটারের বেশি অংশ ভেঙ্গে যায়। উপজেলার ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা তলিয়ে যায় পানির নিচে।
স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে বাঁধ নির্মাণ
স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন।
নামাজের সময় আসে জোয়ার
২৫ মে ঈদের দিনও সকাল থেকে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছিল। ঈদের নামাজের সময় জোয়ারের পানি বাঁধের উপর ছিল। সেই পানিতে দাঁড়িয়েই নামাজ পড়ে নেন স্থানীয়রা।
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে তাণ্ডব
আমফান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও যশোর উপকূলে আঘাত হানে। ঝড়ের তাণ্ডবে বিখ্যাত যশোর রোডের দুই পাশের শতাব্দী প্রাচীন অনেক গাছ উপড়ে যায়।
বাঁচিয়ে দিয়েছে সুন্দরবন
আবারও ঢাল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হওয়া থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। আমফানে সুন্দরবনের ১২ হাজার ৩৫৮টি গাছ ভেঙে গেছে।