হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’
১৯ অক্টোবর ২০১৯জার্মানির বিখ্যাত হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর থেকে আবারও বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালু করা হবে৷ এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে নভেম্বরে সমঝোতা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন জার্মানির বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ৷ রোববার ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দুইদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেয়েছি হাইডেলবার্গে বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালুর জন্য৷আগে পেলে আজকেই মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সাইন করতে পারতাম৷ আমরা আশা করছি আগামী নভেম্বরে এটা করবো৷ তাহলে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যেই হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা যাবে৷’’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’চেয়ার৷ হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়াযায়ী, ১৯৯৯ সালের ৫ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জার্মানিতে বাংলাদেশের তখনকার রাষ্ট্রদূত কাজি আনোয়ারুল মাসুদ এবং হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির দক্ষিণ এশিয়া ইন্সটিটিউটের তৎকালীন পরিচালক ড. হান্স জর্জ বোহলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন৷
চালু হওয়ার প্রথম দুই বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরা এ ফেলোশিপের আওতায় যোগ দেন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ বিষয়ে পাঠদান করেন৷ তবে ২০০২ সালের পর আর কোনো শিক্ষক এ ফেলোশিপের আওতায় যোগদান করেননি৷ ফলে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের বাইরে জাতির জনকের সম্মানে প্রতিষ্ঠিত প্রফেসরিয়াল চেয়ারটির কার্যক্রম৷ সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ বছর পর ২০২০ সালে জার্মানির খ্যাতনামা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও কার্যক্রমটি চালু হবে৷
এদিকে রোববার জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি বঙ্গবন্ধু কর্নারও চালু করা হয়েছে৷ এর উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকসহ জার্মান সফররত বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা৷
এফএস/এআই