1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষার দাবি উত্তর কোরিয়ার

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

শব্দের থেকেও দ্রুত মিসাইল পরীক্ষার দাবি করলো উত্তর কোরিয়া। তাদের দাবি, মঙ্গলবার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল।

https://p.dw.com/p/410ea
উত্তর কোরিয়ার দাবি, তারা এই হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে। ছবি: YONHAPNEWS AGENCY/picture alliance

পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি মিডিয়া সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট বলছে, মঙ্গলবার হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে তাদের এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে মঙ্গলবার এই মিসাইল পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। তবে সেটা কী ধরনের মিসাইল তা তারা জানায়নি। কতদূর এটা উড়েছিল, সেটাও তারা জানায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই তার দেশের বিশেষজ্ঞদের এই বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন।

হাইপারসনিক মিসাইল

হাইপারসনিক মিসাইল শব্দের থেকে পাঁচগুণ দ্রুতবেগে যায় এবং তা টের পাওয়া শক্ত। তাই এই মিসাইলকে ধ্বংস করার কাজটাও কঠিন। .

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল গুরুত্ব আছে। প্রশ্ন উঠছে, উত্তর কোরিয়া কি পরমাণু অস্ত্র বহন করার ক্ষমতার কথা বলছে? রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষার সময় ইঞ্জিন কেমন কাজ করছে, জ্বালানি ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, এই বিষয়গুলি দেখা হয়েছে। এই প্রথম উত্তর কোরিয়া জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ব্যবস্থায় যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাকে ক্ষেপণাস্ত্রে জ্বালানি ভরতে হবে না, মিসাইল তৈরির সময়ই তাতে জ্বলানি ভরা থাকবে।

রিপোর্ট বলছে, মিসাইল পরীক্ষার সময় উত্তর কোরিয়ার মার্শাল পাক জং চোন উপস্থিত ছিলেন। তবে কিম জং উন ছিলেন কি না, তা তারা জানায়নি।

অ্যামেরিকার পরেই

মঙ্গলবার অ্যামেরিকা জানিয়েছিল, তারা হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে। মার্কিন সেনার হাতে এই মিসাইল দেয়া হবে। রাশিয়া, চীন এবং অন্য কিছু দেশও এই মিসাইল তৈরি করছে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়াও পারমাণবিক ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়া যায় এমন সাবমেরিনের পরীক্ষা করেছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টচার্স, এএফপি)