হাঙ্গেরির খেলায় মিউনিখ স্টেডিয়ামে রংধনু আলো জ্বালানোর দাবি
২০ জুন ২০২১মিউনিখের আলিয়াঞ্জ আরেনা স্টেডিয়ামে বুধবার এফ গ্রুপের লড়াইয়ে জার্মানির মুখোমুখি হবে হাঙ্গেরি৷ স্টেডিয়ামটির অন্যতম আকর্ষণ এর বহিরাবরণ, যেখানে ইচ্ছামাফিক আলো জ্বালানোর সুযোগ আছে৷ বুধবার সেটি ‘এলজিবিটি+' আন্দোলনের প্রতীক রংধনুর সাত রঙে রাঙানোর দাবি উঠেছে৷
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানী মিউনিখের মেয়র ডিটার রাইটারকে এজন্য সিটি কাউন্সিলের পক্ষে থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, ‘‘জার্মানি ও হাঙ্গেরির মধ্যকার ম্যাচের দিন হাঙ্গেরির এলজিবিটি কমিউনিটির কাছে সহমর্মিতার বার্তা পাঠাতে চায় কাউন্সিল, যারা হাঙ্গেরি সরকারের সাম্প্রতিক পাস করা আইনের কারণে ভুক্তভোগী হচ্ছেন৷’’
১৫ জুন হাঙ্গেরি সংসদে ১৫৭-১ ভোটে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, সমকামিতা বা দুইয়ের অধিক লিঙ্গ পরিচয়ে উদ্বুদ্ধ করে এমন তথ্য ছড়ানো যাবে না৷ মিউনিখ কাউন্সিল মনে করে, আইনটি লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারকে আরো হরণ করবে৷ এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌলিক অধিকার সনদ, এলজিবিটিকিউ সমতা কৌশলপত্র ও জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশন বিরোধী হিসেবে অভিহিত করেন৷ বলেন, এমন প্রেক্ষিতে ‘বৈচিত্র্য ও সহনশীল সমাজের পক্ষে’ মিউনিখের অবস্থান সবার সামনে তুলে ধরতে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ম্যাচটি ভালো উপায়৷ ম্যাচ চলাকালে রংধনুর রঙে স্টেডিয়ামে আলো জ্বালাতে উয়েফার কাছে যাতে সুপারিশ করা হয় সে বিষয়ে মিউনিখ মেয়রের উদ্যোগ চেয়েছেন তারা৷
এই দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে জার্মানি লেসবিয়ান ও গে অ্যাসোসিয়েশন-এলএসভিডি৷ সংগঠনটির জাতীয় বোর্ড সদস্য ক্রিস্টিয়ান রুডলফ বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেছেন, শুধু একটি ম্যাচ নয়, গোটা ইউরো চলাকালেই উদ্যোগটি অব্যাহত থাকা উচিত৷ জার্মানির ফুটবল দলও এর পক্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ রুডলফ জার্মান ফুটবল ফেডারেশনে জেন্ডার সমতার বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷
জার্মানির ফুটবলে ‘এলজিবিটি+' অধিকারের পক্ষে সংহতি প্রকাশ নতুন নয়৷ গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে জার্মানির অধিনায়ক মানুয়েল নয়ার রংধনু রঙের আর্মব্যান্ড পরে খেলেছেন৷ বুন্ডেসলিগা চলাকালে খেলোয়াড় আর দর্শকরাও এলজিবিটি+ আন্দোলনের সমর্থনে হরহামেশাই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকেন৷
এফএস/এসএস (ডিপিএ)