1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাড় কাঁপানো ঠান্ডা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১ জানুয়ারি ২০১৩

শৈত্যপ্রবাহে গোটা উত্তর ভারতের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত৷ বেহাল রেল, সড়ক ও বিমান পরিষেবা৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে চারজন৷ এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০৷ আবহাওয়া বিভাগের মতে, শৈত্য প্রবাহ চলবে আরও কয়েকদিন৷

https://p.dw.com/p/17Bwx
ছবি: AP

মঙ্গলবার নতুন বছরের প্রথম দিনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় গোটা উত্তর ভারতের স্বাভাবিক জনজীবনের বেহাল দশা৷ চলতি শীতের মরশুমে এটাই ছিল শীতলতম দিন৷ হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি এবং জম্মু-লাদাখ এলাকার কোনো কোনো জায়গায় তাপমাত্রা শূন্যাঙ্কের নীচে ২ দশমিক ছয় ডিগ্রি থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘোরাফেরা করছে৷ জলের পাইপ লাইন জমে গেছে বরফে৷ হরিয়ানা, পাঞ্জাবের বহু জায়গায় এবং রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রা ০.৭ থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে৷

দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরে শীতের প্রকোপে রেল, সড়ক ও বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত৷ ঘন কুয়াশায় সকালের দিকে দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি৷ ১০০ মিটার দূরের জিনিসও দেখা যায়নি৷ সারাদিন রোদের দেখা নেই৷ মেঘলাভাব৷ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমান বন্দরে ৩০টি উড়ান হয় বাতিল, না হয় বিলম্বিত হয়েছে৷ বাতিল করা হয়েছে ১২টি ট্রেন, আর প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চার থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে চলে৷ আর জম্মু ও লাদাখ এলাকায় আটকা পড়া ৩৭০ জনকে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর বিমান৷

গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর প্রদেশে প্রচণ্ড ঠান্ডায় আরও চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০-র মতো৷ আবহাওয়া বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা ‘টেকনিক্যালি' এটাকে শৈত্যপ্রবাহ না বললেও বলেছে, এই কনকনে ঠান্ডাভাব চলবে আরও দু-চারদিন৷ বৃষ্টি হবেনা৷ কুয়াশা হবে, তবে তা কেটে যাবে৷

উল্লেখ্য, ইউরোপ বা উত্তর অ্যামেরিকায় এর থেকেও বেশি ঠান্ডা পড়ে৷ কিন্তু ভারতের মতো দেশে তাপমাত্রা নামতে থাকলে হাজার হাজার গৃহহীনদের জীবন হয় বিপন্ন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য