1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাতের আঙুল ও আবেগ সম্পন্ন রোবট ওয়ার্কারবোট

৮ জানুয়ারি ২০১১

কারখানায় মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করার দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিক রোবোট তৈরি করল জার্মানি৷ এছাড়া আবেগের অভিব্যক্তিও থাকছে নতুন উদ্ভাবিত এই রোবোটের চেহারায়৷ নাম দেওয়া হয়েছে পিআইফোর ওয়ার্কারবোট৷

https://p.dw.com/p/zv2w
রোবট নিয়ে গবেষণার শেষ নেই (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বার্লিনে অবস্থিত পিআইফোর রোবোটিক্স এবং ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই রোবোট৷ আকৃতি বানানো হয়েছে অনেকটা কারখানার শ্রমিকের মতোই৷ ছোট-খাটো, আবার কিছুটা মোটা-সোটা৷ মাথা আয়তাকার৷ দীর্ঘ দু'টি বাহু৷ রয়েছে আঙু্লও৷ তিনটি ক্যামেরা রয়েছে এই রোবোটটিতে৷ এর মধ্যে একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে কপালের উপর৷ সাথে রয়েছে একটি মনিটর৷ সেখানে দেখা যাবে রোবোটের হাস্যোজ্জ্বল কিংবা বিষাদভরা অনুভূতির প্রকাশ৷ অন্য দু'টি ক্যামেরা বসানো মাথার দুই পাশে৷ দেখে মনে হয় যেন দু'টি বড় গোলাকার কান৷

মূলত গাড়ি কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন কারখানায় ভুলত্রুটি খুঁজে বের করতেই ব্যবহার করা হবে এই রোবোট৷ এমনকি সূক্ষ্ম আঁচড় কিংবা সামান্য ত্রুটিও ধরে ফেলতে সক্ষম এই শ্রমিক রোবোট৷ পোজো গাড়ি কারখানায় দেখা গেল, এই শ্রমিক রোবোট নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করে দেখছে নয়টি ছোট ছোট ধাতব সিংহ৷ এই সিংহই হল পোজো মোটর গাড়ির পরিচয় চিহ্ন৷ যা মূলত পোজো গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলে বসানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু এর কোথাও কোন ত্রুটি রয়ে গেল কি না তা-ই খতিয়ে দেখছে পিআইফোর ওয়ার্কারবোট৷

প্রথমে এই চিহ্ন তুলে নিল রোবোট বাম ক্যামেরার সামনে৷ এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে যাচাই করে নিল৷ এরপর মোহরটিকে অন্য হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ক্যামেরার সামনে ধরল নিচের দিকটা পরখ করে নিতে৷ আর যাচাই করার পর ভালো চিহ্নগুলোকে ডানদিকের পাত্রে সাজিয়ে রাখছে এটি৷ কিন্তু যদি কোথাও কোন খুঁত থাকে, তবেই নাখোশ এই মান নিয়ন্ত্রণকারী ইলেক্ট্রনিক শ্রমিক৷ হয় ভ্রূ কোঁচকাবে নয়তোবা মাথা ঝাঁকিয়ে বুঝিয়ে দেবে খুঁত ধরেছে সে৷ এরপর সেই খুঁতওয়ালা চিহ্নটিকে নিয়ে রাখবে বামদিকের পাত্রে৷ শুধু তা-ই নয়, উৎপাদন কাজ ধীর গতিতে চললে বিরক্তি প্রকাশ করবে ওয়ার্কারবোট৷ আর কাজ করতে করতে যদি গরম হয়ে যায় এটি, তবে রক্তিম হয়ে উঠবে এর চেহারা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক