1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিজাব উড়িয়ে জেলে

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নতুন আন্দোলন শুরু করেছেন ইরানের মহিলারা৷ লাঠির মাথায় হিজাব বেঁধে পতাকার মতো ওড়াচ্ছেন তাঁরা৷ নারী স্বাধীনতার দাবিতেই এই আন্দোলন৷ পুলিশ সম্প্রতি এমন ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে৷

https://p.dw.com/p/2rzGp
ছবি: picture-alliance/E.Noroozi

ইরান সরকারের অন্যতম ভাবনার বিষয় এখন ‘হ্যাশট্যাগ হোয়াইটওয়েডনেসডেজ’৷ সম্প্রতি যে হ্যাশট্যাগের জন্য ২৯জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ইরান প্রশাসন৷ অভিযোগ, লাঠির মাথায় নিজেদের হিজাব বেঁধে তাঁরা ভিডিও শ্যুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ১৯৭৯ সাল পরবর্তী ইরানে ইসলামিক আইনের শাসন৷ সেখানে মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক৷ আইনে স্পষ্ট বলা আছে, মেয়েদের মাথা এমনভাবে ঢাকতে হবে যাতে চুল দেখা না যায়৷ আর পরতে হবে ঢোলা বোরকা, যা পা পর্যন্ত ঢেকে রাখবে৷ এর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবাদ করছেন ইরানের মহিলারা৷ সেই প্রতিবাদের সূত্রেই হিজাব উড়িয়েছিলেন ২৯ জন মহিলা৷ পুলিশও তাঁদের গ্রেফতার করে৷

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর৷ ইরানের বিখ্যাত সাংবাদিক মিসাহ আলিনেজাদ প্রথম ‘হ্যাশট্যাগ হোয়াইটওয়েডনেসডেজ’ আন্দোলন চালু করেন৷ নিজের হিজাব খুলে লাঠির গোড়ায় বেঁধে সেটি উড়িয়েছিলেন তিনি৷ গোটা ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এখনো তিনি জেলে৷ কিন্তু মিসাহ-র সেই আন্দোলন ভাইরালের মতো ছড়িয়ে পড়ে ইরান জুড়ে৷ বহু মহিলা এরপর একই কাজ করতে থাকেন এবং গ্রেফতার হন৷ এমনটি সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে কয়েকদিন আগে৷ ২৯জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

এত কাণ্ডের পরও ইরান সরকার এখনো পর্যন্ত মহিলাদের এই আন্দোলন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷ কেবল ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, মানুষের ভালোর জন্যই আইন৷ মানুষের যা পছন্দ নয়, ইরান সরকার সেই আইন বলবৎ করতে চায় না৷ কিন্তু হিজাব প্রসঙ্গে কোনো কথাই তিনি বলেননি৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এভাবে মহিলাদের গ্রেফতার করলে হিজাব বিদ্রোহ আরো বড় আকার ধারণ করবে৷ তাঁরা মনে করেন, সরকারের উচিত এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা৷

এসজি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

২০১৬ সালের আগস্টের এই ছবিঘরটি দেখুন...