হিজাব ছাড়া হাঁটলেই ‘বিপ্লব’!
নারীর মাথায় নেই হিজাব৷ এমন দিন যে আসবে ইরানে, তা এতদিন ছিল কল্পনাতীত৷ বদলালো কি রাস্তাঘাটের চিত্র, দেখুন ছবিঘরে...
নীতিপুলিশি চলবে...
ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় বহাল আছে নীতিপুলিশ, যাদের কাজই হিজাবহীন নারীদের গ্রেপ্তার করা৷ ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর আইন প্রণয়ন করে ঠিক করা হয় নারীদের পোশাকনীতি৷ সেই নীতির খেলাপ হলেই গ্রেপ্তার করা হবে হিজাব না-পরা নারীদের৷
পরিবর্তন আসবেই?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী দমকলকর্মী সংবাদসংস্থা এপিকে জানান, ‘‘আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই আইনের কারণে আমি ভীত৷ পুলিশ আমাদের পেছনে লেগে থাকলেও আমাদের থামাতে পারবে না৷ কারণ পরিবর্তন আসবেই৷’’
মধ্যপন্থার হিজাব
আইন বনাম স্বাধীনতা- এই দোটানায় সরকারের মতোই বাঁধা পড়েছেন ইরানের নারীরাও৷ বের করেছেন অভিনব উপায়৷ গোটা মাথা ঢাকা হিজাবের বদলে ‘ক্যাসুয়াল হিজাব’ বেছে নেন৷ এই হিজাবের বৈশিষ্ট্য এই যে সেটা পড়লে চুলের অল্প অংশই ঢাকা থাকে৷
বাজারের হিজাব
তেহরানের বৃহত্তম বাজার ‘গ্র্যান্ড বাজার’-এও আজকাল বেশি বেক্রি হচ্ছে এই ‘ক্যাসুয়াল হিজাব’, জানাচ্ছে এপি৷ নানারঙের এই আপোষের হিজাব পাওয়া যাচ্ছে তেহরানসহ অন্যান্য শহরেও৷ এপি তার প্রতিবেদনে এটাও জানিয়েছে যে বাজারের বেশিরভাগ ক্রেতা নারীই পরেছিলেন ক্যাসুয়াল হিজাব৷ খুব কম নারীদের গায়ে ছিল নিকাব বা চাদর৷
হিজাব ছাড়া কতজন?
এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয় দিনে আনুমানিক প্রায় ২৪জন নারীকে রাস্তায় দেখা গেছে কোনো রকমের হিজাব ছাড়াই৷ ২০১৮ সালের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ইরানের মোট ১৩ শতাংশ নারীই সম্পূর্ণ হিজাব পরেন৷
ভবিষ্যতে বদলাবে কি এই আইন?
কট্টরপন্থিরা ইরানে শক্তিশালী হলেও সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে নারীদের চয়নক্ষমতার পারদ৷ ১৯৮০ সালে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নারী হিজাবের পক্ষে থাকলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা এসে নেমেছে ৪৫ শতাংশে৷ ফলে ভবিষ্যতে যে একেবারেই বদলাবে না ইরানে নারীদের হিজাব-ব্যবস্থা, তা নিশ্চিতভাবে এখনই বলা যাচ্ছে না৷