হিজাববিরোধী প্রচারণা #মেনইনহিজাব
১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরানে জনসমক্ষে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক হয়েছে৷ সম্প্রতি ইরানের পুরুষরা নারীদের হিজাববিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অভিনব প্রচারণা শুরু করেছেন৷ সেই প্রচারণার কিছু অংশ থাকছে ছবিঘরে৷
নিঃশব্দ প্রতিবাদ
ইরানের বেশিরভাগ পুরুষ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের হিজাব পরা ছবি শেয়ার করেছেন, যা এই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জগতের সর্বত্র৷ ‘মাই স্টিলথি ফ্রিডম’ নামে এই প্রচারণার অংশ হিসেবে তারা এটা করছেন৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
নারী অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজেরা মাথা ঢেকে নারীদের সঙ্গে ছবি তুলে তা পোস্ট করছেন ফেসবুক-টুইটারে৷ এভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরো দেশে৷ তাঁরা বলছেন, হিজাব নারী স্বাধীনতার লঙ্ঘনের প্রতীক৷
হিজাববিরোধী আন্দোলনের উদ্যোক্তা
এই প্রচারণা শুরু হয় সাংবাদিক ও নারী আন্দোলন কর্মী মসিহ আলিনেজাদের উদ্যোগে৷ তিনি ইরানের পুরুষদের হিজাব পরার এই বাধ্যতামূলক আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন৷
নিউ ইয়র্ক থেকে আন্দোলন
পুরুষদের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বসবাসরত আলিনেজাদ বলেছেন, পুরুষদের নিজেদের হিজাব পরে দেখা উচিত তাদের কেমন লাগে৷
মাথা না ঢাকলে শাস্তি
ইরানে নারীদের মাথা ঢাকার বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়৷ বিশেষ করে সেখানকার নৈতিক পুলিশ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখে৷ হিজাব না পরলে বা মাথায় কাপড় না দিলে জেল-জরিমানা হতে পারে৷
নারী স্বাধীনতার লঙ্ঘন
সম্প্রতি ইরানের নারীরা এই কঠোর নিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক লেখালেখি করছেন৷ তাদের দাবি, এটা নারী স্বাধীনতার লঙ্ঘন৷ তাদের স্বাধীনতা যেন ফিরিয়ে দেয়া হয়৷
‘মেন ইন হিজাব’
২০১৪ সালে আলিনেজাদ ফেসবুকে একটি পাতা বানিয়েছিলেন যার নাম ‘মেন ইন হিজাব’৷ সেই থেকে ফেসবুক ও টুইটারে ইরানি পুরুষেরা মাথায় হিজাব পরে ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকেন৷
সমালোচনা
পুরুষের হিজাব পরা বা না পরাটা কোনো বিষয় নয়, যদিও এটাকে সমাজ ভালো চোখে দেখে না৷ ইরানেও পুরুষের এ ধরনের কাজের সমালোচনা করেছেন আইন প্রণেতারা৷
মডেলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সম্প্রতি ইরানের সরকার ইন্টারনেটে ইসলামবিরোধী পোস্টের জন্য দেশের কয়েকজন নামি-দামি মডেলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়েছে৷ এই মডেলরা ইন্টারনেটে এমন কিছু ছবি পোস্ট করেছেন, যেগুলোতে তাদের মাথায় কাপড় ছিল না৷