হিটলারের ভঙ্গিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে নেকড়ে
জার্মানির বিভিন্ন স্থানে এখন শোভা পাচ্ছে ব্রোঞ্জের তৈরি অসংখ্য নেকড়ে৷ হিটলারের ভঙ্গিতে স্যালুট জানাচ্ছে নেকড়েগুলো৷ হিটলারের ‘ভাবশিষ্য’দের রুখতেই এমন উদ্যোগ৷ দেখুন ছবিঘরে...
‘নেকড়েরা ফিরে এসেছে’
এ নামের এক উদ্যোগেই সারা জার্মানিতে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি ৬৬টি নেকড়ের মূর্তি৷ ভাস্কর রাইনার ওপলকা-র গড়া নেকড়েগুলোর মধ্যে কিছু আবার হিটলারের সেই ভঙ্গিতে ডান হাত সামনে বাড়িয়ে স্যালুট দিচ্ছে৷ এমন দশটি নেকড়ে মূর্তি স্থান পেয়েছে কেমনিৎসে৷ সম্প্রতি এক জার্মান নিহত হওয়ার পর শহরটিতেকয়েকটি ডানপন্থি সংগঠন রীতিমতো তাণ্ডব চালায়৷ তখন কয়েকজনকে হিটলারের সেই ‘নাৎসি স্যালুট’ দিতেও দেখা যায়৷
নেকড়েদের জার্মানি সফর
২০১৫ সাল থেকে শরণার্থীর স্রোত নামে জার্মানিতে৷ শরণার্থীবিদ্বেষী সংগঠনগুলোর তৎপরতাও বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে৷ ওই উগ্র ডানপন্থিদের বিষয়ে সতর্ক করতেই সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে নেকড়ের ব্রোঞ্জ মূর্তি৷ শরণার্থীবিদ্বেষী সংগঠনগুলো সমাবেশ করেছে, মূলত এমন শহরগুলোতেই আপাতত চলে গেছে ব্রোঞ্জের নেকড়ে৷ উগ্র ডানপন্থিরা হিটলারের প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী গ্যোবেলসের মতো নিজেদের ‘নেকড়ে’ হিসেবে বর্ণনা করতে পছন্দ করে৷
মুখোমুখি
গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেমনিৎসে আরেক দফা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গিয়ে উগ্রডানপন্থিরা দেখেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দাঁড়িয়ে ব্রোঞ্জের নেকড়েগুলো যেন তাদের বিদ্রূপ করছে৷ কয়েকটি নেকড়ে ‘নাৎসি স্যালুট’ দিচ্ছিলো, কয়েকটি দাঁড়িয়ে ছিল রেগেমেগে তেড়ে আসার ভঙ্গিতে, কয়েকটির আবার চোখ ছিল কাপড়ে বাঁধা৷
কেমনিৎসের ঘুরে দাঁড়ানো
সেপ্টেম্বরের শুরুতে উগ্র ডানপন্থিদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানাতে কেমনিৎসবাসীদের একাংশ রাস্তায় নেমে আসে৷ উগ্র ডানপন্থিদের কারণে শহরের ক্ষুণ্ণ হওয়া ভাবমূর্তি আবার ফিরিয়ে আনতে আয়োজন করা হয় কনসার্ট৷ ‘উই আর মোর’ ব্যানারে আয়োজিত সেই কনসার্টে উপস্থিত ছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
পর্যটকদের স্বাগত
শরণার্থী এবং মুসলিমবিদ্বেষী ডানপন্থিদের দূরে ঠেলে পর্যটকদের কাছে টানার জন্য আবার তৈরি হয়ে উঠছে কেমনিৎস৷ ‘প্রো-কেমনিৎস’, পেগিডা, এএফডির সমাবেশে যারা সহিংশতা ছড়িয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিশ৷
‘হিটলারের স্যালুট’ নিষিদ্ধ
জার্মানিতে প্রকাশ্যে ‘নাৎসি স্যালুট’, স্বস্তিকা এবং হিটলারের আমলকে স্মরণ করিয়ে দেয়া যে কোনো প্রতীক প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ৷ কেমনিৎসের সমাবেশে হিটলারের মতো স্যালুট দেয়া এবং সহিংশতা ছড়ানোর অভিযোগে ছবির এই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে৷