হিমালয় কন্যার কান্না
২৫শে এপ্রিল নেপালে ৭.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ বিধ্বস্ত হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা স্থাপনা ও ঐতিহাসিক স্থান৷
৬৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালের প্রায় ৬৬ লাখ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডুর জাতিসংঘ কার্যালয়৷
উদ্ধার কাজ
ইট, সিমেন্ট, কাঠের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা৷ তবে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় উদ্ধার অভিযানে সময় লাগছে৷
খোলা আকাশের নীচে লাখো মানুষ
ভূমিকম্পের পর থেমে থেমে হচ্ছে পরাঘাত (আফটার শক)৷ তাই আতঙ্ক নিয়ে তাঁবু আর খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালের বাসিন্দারা৷ যাদের ঘর বিধ্বস্ত হয়নি, তাঁরাও ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন৷ শনিবারের ওই ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷
বেসক্যাম্পে উদ্ধার কাজ
ভূমিকম্পের প্রভাবে তুষার ধসের ফলে মাউন্ট এভারেস্টের বেসক্যাম্পের কিছু অংশ বরফের নীচে চাপা পড়ে৷ এতে মারা গেছেন ১৮ জন৷ মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে৷
ত্রাণ সহায়তা
প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসএইড৷ জার্মানির একটি ত্রাণ দল এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে৷ ভারত বেশ কিছু হেলিকপ্টার, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল এবং ৪০টি শক্তিশালী উদ্ধারকর্মী দল ও ডগ স্কোয়াড পাঠিয়েছে৷ রবিবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমানে করে মোট ৩৪ জনের একটি দল কাঠমান্ডু পৌঁছায়৷
আগের দরবার স্কোয়ার
২০১১ সালে তোলা দরবার স্কোয়ারের ছবি এটি৷
বিশ্ব ঐতিহ্য বিধ্বস্ত
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া দরবার স্কয়ার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে৷ কাঠমান্ডুতে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়েই সাতটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনা রয়েছে, যা বিধ্বস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
বিধ্বস্ত ভীমসেন টাওয়ার
কাঠমান্ডুর অন্যতম পর্যটন স্থান ভীমসেন টাওয়ার৷ ভূমিকম্পে ন’তলা এই টাওয়ারটির কয়েক ফুট ধসে পড়েছে৷ ১৮৩২ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী ভীমসেন থাপরা৷
ভক্তপুর
ভক্তপুরের বেশিরভাগ ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে৷
ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষ
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা মানুষের কেবল মাথাটা ধ্বংসস্তূপের বাইরে৷ তাই সবাই মিলে চেষ্টা করছেন তাকে উদ্ধারে৷