হিমালয়ের বাসিন্দারা জানেন: জলবায়ু বদলাচ্ছে
২৭ এপ্রিল ২০১১ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরে দার্জ্জিলিং পাহাড় অঞ্চলের সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের দশটি গ্রাম, এবং নেপালের ইলাম জেলার আটটি গ্রামের সব মিলিয়ে ২৫০ জন মানুষের সাক্ষাতকার নেন গবেষকরা৷ প্রশ্ন করেন জলবায়ু পরিবর্তনের ১৮টি লক্ষণ সম্পর্কে: বিগত দশ বছরে তারা এই লক্ষণগুলির কোনগুলি এবং কতোটা দেখেছেন৷ এর পরে ঐ এলাকার আরো বেশ কিছু গ্রামে মিটিং করে এবং প্রশ্নাবলী বন্টণ করে সাক্ষাতকারের উত্তরগুলোকে মিলিয়ে নেওয়া হয়৷
যাদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে, তাদের দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন, গত দশ বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে, এবং পুনরায় দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন যে, গ্রীষ্ম এবং বর্ষার মরশুম আজকাল আগে শুরু হচ্ছে৷ অর্ধেকে বলেছেন, পাহাড়ে বরফ কমে গেছে; পুনরায় অর্ধেক জলাভাবের কথা বলেছেন৷ অর্ধেকে বলেছেন, কিছু কিছু গাছপালায় আগেই পাতা কি ফুল ধরতে শুরু করেছে; এছাড়া যে সব গ্রামে আগে মশা ছিল না, এখন সেখানেও মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে৷ এক-তৃতীয়াংশ বলেছেন, ক্ষেতে সব নতুন ধরণে কীট এবং আগাছা দেখা দিয়েছে৷
মজার কথা, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের সংগৃহীত তথ্যের সঙ্গে গ্রামবাসী, কৃষিজীবীদের এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অথবা ধারণা খুব মিলে যায়৷ বিশেষ করে পাহাড়ে বেশি উচ্চতায় যারা থাকেন, তারা যে বেশি পরিবর্তন দেখেছেন, সেটাও স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানসম্মত৷ এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, হিমালয় অঞ্চলে খাদ্য, খরা, আগাছার উৎপাত ইত্যাদি সমস্যার মোকাবিলার জন্য নীতি ঠিক করার আগে স্থানীয় পরিবেশ সম্পর্কে বাসিন্দাদের এই তথ্যভাণ্ডার অনেক কাজে আসতে পারে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়