হুমকির মুখে জার্মান গণতন্ত্র
২৩ নভেম্বর ২০২০যুবভিত্তিক কাজকর্মে উদার, উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা আক্রমণের মুখে পড়ছে জানিয়েছে জার্মানির নাগরিক গোষ্ঠীগুলো৷
চরম দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে প্রকল্পগুলোর জন্য স্থিতিশীল তহবিলের দাবি ৬০টি নাগরিক গোষ্ঠীর৷ জার্মান সমাজকে দুর্বল করার জন্য জার্মানিতে চরম দক্ষিণপন্থিদেরপ্রচেষ্টা ব্যর্থ করার লক্ষ্যে জার্মানির ফেডারেল সংসদ বুন্ডেসটাগ একটা আইন পাস করেছে ৷ আইনটি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন এসপিডি দলের প্রধান জাসকিয়া এসকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘উগ্র দক্ষিণপন্থিরা প্রকাশ্যে কিভাবে আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে, আমরা তা দেখছি৷’’ এসপিডি বা সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সদস্য পরিবার কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রান্সিসকা গিফে এবং আইনমন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেক্ট গণতন্ত্র বিকাশের জন্য একটি বিল মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন৷ তবে ম্যার্কেলের মন্ত্রীসভার রক্ষণশীল সদস্যরা সে বিলটি পাসের বিরোধিতা করছেন৷ বুধবার মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের আগে বার্লিনভিত্তিক সংবাদপত্র তাজকে এসকেন বলেন, ‘‘এই বিরোধিতা আমাদের বোধগম্য নয়, তবে তা বিপজ্জনক৷’’
গত ফেব্রুয়ারিতে হানাউ শহরে সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডের পর বর্ণবাদবিরোধী একটি খসড়া আইন প্রণয়নের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের শত্রুদের মোকাবেলা করতে আমাদের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে৷’’ সেপ্টেম্বর মাসে পার্লামেন্টে, জার্মানির গণতন্ত্রের বিকাশে বর্তমান এসপিডি দলের মতো একই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে বিরোধী সবুজদল ব্যর্থ হয়৷
প্রায় ৬০টি নাগরিক গোষ্ঠী সাম্প্রতিক এক চিঠিতে তাজ পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কেলের মহাজোট সরকারকে সতর্ক করে দেয়৷ নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মতে, তাদের যুবভিত্তিক কাজকর্মে উদার, উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা আক্রমণের মুখে পড়ছে৷
২০২১ সালের প্রথম কোর্য়াটারে মন্ত্রিসভা কমিটির ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানান ম্যার্কেল সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন জাইবার্ট গত শুক্রবার৷
এনএস/কেএম (এএফপি, কেএনএ, ইপিডি)
২০ ফেব্রুয়ারির ছবিঘরটি দেখুন...